দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর নজর ছিল শুধুমাত্র দেশের পশ্চিম সীমান্তের দিকে। পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সংঘাত চলছে ভারতের। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে উত্তরে চিনের সঙ্গেও সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে ভারতের। এই আবহে এবার বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরী বললেন, পশ্চিম ও উত্তর সীমান্তের পরিস্থিতি পৃথক হলেও এটিকে একক ভাবে দেখা উচিত এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া উচিত ভারতের। এয়ার চিফ মার্শাল আদতে চিন ও পাকিস্তানের যৌথ সামরিক হুমকির সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেন এদিন।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বিমান বাহিনী প্রধান বলেন যে ভবিষ্যতে সামরিক বাধা থেকে শুরু করে তথ্যের হেরফের এবং ব্ল্যাকআউটের মাধ্যমে সমস্ত ফ্রন্টে ভারতকে আক্রমণ করা হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে এই ধরনের সম্ভাবনার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ পূরণ করতে হবে।
এদিকে রাশিয়া যেভাবে ইউক্রেনের উপর আগ্রাসী হয়েছে, সেই ঘটনা থেকে ‘অনুপ্রাণিত’ হয়ে চিনও কি ভারতের উপর আক্রমণ করতে পারে? এই প্রশ্নের জবাবে ভিআর চৌধুরী বলেন, ‘বেজিংয়ের সাথে ভারতের সম্পর্কের উপর বিশ্বের ঘটনাপ্রবাহ এবং ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির কী প্রভাব পড়ছে তা সর্বস্তরে বিস্তৃত ভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে ক্রমাগত। একটি দেশ হিসেবে, আমাদের অবিলম্বে ভবিষ্যতের হুমকিগুলিকে সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে হবে যাতে তাদের মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যায় এবং আমরা সক্ষম হই।’
এদিকে চিন ক্রমেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর তাদের বায়ুসেনার শক্তিবৃদ্ধি করছে। এই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে এয়ার চিফ মার্শালের অকপট বক্তব্য, ‘সময় এলে আমরাও কড়া জবাব দিতে সক্ষম।’ উল্লেখ্য, এর আগে প্রয়াত সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াত থেকে শুরু করে প্রাক্তন সেনা প্রধান জেনারেল এমএম নারাভানে চিন এবং পাকিস্তানের তরফে যৌথ হামলার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছেন। তবে এই প্রথম পদে থাকাকালীন কোনও সামরিক বাহিনীর প্রধান এই যৌথ হামলা প্রতিহত করার পথ বের করার কথা বললেন।