দিল্লি সফর সেরে শহরে ফিরেই আরজি কর হাসপাতালে নিহত চিকিৎসকের সোদপুরের বাড়ি গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বুধবার সেখানে পৌঁছে তিনি বলেন, ‘‘আমি দিল্লি থেকে সরাসরি এখানে এসেছি তাঁর (নির্যাতিতা) বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে। তাঁদের যন্ত্রণার অনুভূতি বুঝতে। তাঁরা আমাকে কিছু কথা বলেছেন। তাঁরা আমাকে যা বলেছেন এবং আমার সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, আমি একটি চিঠি লিখব এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সিল করা খামে তা পাঠাব।’’
গত ৯ অগস্ট প্রকাশ্যে এসেছিল আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা। তার পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ আন্দোলন। কিন্তু ১৩ অগস্ট পর্যন্ত আরজি করের ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি রাজ্যপাল। রাজভবনের যে ‘মিডিয়া সেল’-এর এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে সাধারণত তাঁর মতামত সংক্রান্ত পোস্ট করা হয়, সেখানে মাঝের পাঁচ দিনে অন্য বিষয়ে ছবি এবং বক্তব্য প্রকাশ করা হলেও আরজি করের ঘটনার কোনও উল্লেখ ছিল না। শেষ পর্যন্ত ১৪ অগস্ট বিকেলে ওই এক্স হ্যান্ডলে রাজ্যপালের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়। সেখানেই প্রথম আরজি করের ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির সমালোচনা করতে শোনা যায় রাজ্যপালকে।
একই সঙ্গে ওই ভিডিয়োয় তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমাদের দায়িত্ব বাংলা এবং ভারতকে মহিলাদের থাকার জন্য নিরাপদ করে তোলা। এটা বড় দায়িত্ব। যদি এখন আমরা সুযোগ হারাই তবে, ভবিষ্যতে আর নাও পেতে পারি।’’ কোন সুযোগের কথা বলছেন রাজ্যপাল তা অবশ্য তিনি ওই ভিডিয়ো বার্তায় স্পষ্ট করেননি। তবে রাজ্যপাল বলেছেন, ‘‘আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। তা হলেই সাফল্য আসবে। কারণ বিবেকানন্দ বলে গিয়েছেন, ‘ওঠো, জাগো, লক্ষ্যে না পৌঁছনো পর্যন্ত থেমো না।’ এই স্থির সংকল্পই থাকতে হবে আমাদের। নিশ্চিত করতে হবে, আমাদের মেয়েরা যাতে সুরক্ষিত থাকে।’’