“সোমবার ঠাকুরনগরের সভায় মুখ্যমন্ত্রীর মুখোশ খুলব,” হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

 “সোমবার ঠাকুরনগরের সভায় মুখ্যমন্ত্রীর মুখোশ খুলব”। রবিবার বিকেলে বীরভূমের মুরারই বিধানসভার কেস্তারা গ্রামের মাঠে সৌজন্য ও সম্প্রীতির জনসভায় এমনই হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

রবিবার বিকেলে মুরারইয়ে সভার আয়োজন করে বিজেপি। সভায় দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, হজ কমিটির সদস্যা মাফুজা খাতুন, রাজ্য সম্পাদক শ্যামাপদ মণ্ডল, মহিলা মোর্চার বীরভূম সাংগঠনিক সভাপতি রশ্মি দে, জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা উপস্থিত ছিলেন। সভার শুরুতেই বিরোধী দলনেতা তৃণমূলকে চোরের দল বলে আক্রমণ করেন। এরপরেই মুরারইয়ের তৃণমূল নেতা আলি মুর্তজা খান, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ প্রদীপ ভকত, মুরারই ১ নম্বর ব্লক সভাপতি বিনয় ঘোষের নাম নিয়ে চোর বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “এরা মাসে ৯ হাজার কোটি টাকা ডিসিআরের নামে আদায় করে পিসি ভাইপোকে পাঠাচ্ছে। এই টাকা পাচারের জন্য আইপিএস শ্যাম সিংকে ডিআইজি পদে নিয়ে আসা হয়েছে। ওই অফিসার সামনে পিছনে পুলিশ নিয়ে টাকা কলকাতায় পৌঁছে দিচ্ছে”।

এদিনের সম্প্রীতির সভায় শুভেন্দু গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ ও অসসমের উধাহরন দিয়ে বলেন, “তৃণমূল বলছে এনআরসি হলে মুসলিমদের তাড়িয়ে দেওয়া হবে। ওই তিন রাজ্যে দেখান কতজন মুসলিমকে তাড়ানো হয়েছে? এসব বলে সংখ্যালঘু ভাইদের আর বিজেপি থেকে সরানো যাবে না। ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন”।

তিনি বলেন, “রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে ১০ জনকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। সেই স্বজনহারারা আজ আমাদের সঙ্গে। আমরা বগটুই গ্রামে স্মরণ সভা করার প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলাম। আমাদের দেখে ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রামে গিয়েছিলেন। কিন্তু গ্রামবাসীরা তাকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে। এজন্য ধন্যবাদ জানাই বগটুই গ্রামের মানুষকে”।

সভা শেষে বেশ কয়েকটি নাম নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “তৃণমূলের সবাই চোর। এখনও এজেলার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান, বিধায়ক রানা সিং তালিকায় রয়েছে। এরকম সমস্ত নেতা মন্ত্রী লাইনে আছেন। তবে ধেরে ইঁদুরদের আমরা দেখব”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.