শহরে অভিনব প্রতারণার ফাঁদ। নৃত্যশিল্পীদের নাচের অনুষ্ঠানের টোপ দিয়ে সর্বস্ব লুট করছে প্রতারকের দল। হোটেলে ডেকে মাদক খাইয়ে গয়না, মোবাইল হাতিয়ে চম্পট দিত তারা। অবশেষে বুধবার পুলিশের জালে তিন প্রতারক। তাঁদের আদালতে তোলা হলে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
নদিয়ার নাকাশিপাড়ার এক তরুণী নৃত্যশিল্পী পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। জানান, এক মহিলা নিজেকে নাচের অনুষ্ঠানের আয়োজক হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। অনুষ্ঠান নিয়ে আলোচনার জন্য ২ ডিসেম্বর অভিযোগকারীকে শরৎ বোস রোডের একটি হোটেলে ডেকে পাঠান। তরুণী সময়মতো সেখানে যান। আধঘণ্টা পর অপরিচিত এক যুবক হোটেলের ঘরে আলোচনায় যোগ দেন। তার পর তিনজনে খাবার ও পানীয় নেন। এর পরই গভীর ঘুমে ঢলে পড়েন অভিযোগকারী। ঘুম ভাঙার পর দেখতে পান, তাঁর হাতের পাঁচটি সোনার আংটি, গলার তিন হার ও লেটেস্ট মডেলের আইফোন লুট হয়েছে। এর পরই পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। হোটেল ও রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত।
শেষ পর্যন্ত যশোর রোডের একটি হোটেল থেকে প্রতারকদের গ্রেপ্তার করা হয়। সেখানেই আরও একজনকে প্রতারণার ফাঁদের ফেলার ছক কষেছিল তারা। তার আগেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে যায় তিনজন। ধৃতদের মধ্যে একজন মহিলাও রয়েছেন। বাকি দুজন হল সুনীল তিওয়ারি ও রাহুল লস্কর। তাদের জেরা করে লুট করা সোনা ও ফোন উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি একই কায়দায় একাধিক তরুণীকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছে তারা।