গরমের ছুটিতে তুরস্কের হট এয়ার বেলুন সফর করার পরিকল্পনা করেছেন? মনের মধ্যে আজ়ারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কেনাকাটির ইচ্ছা জেগেছে? ঘুরে আসতেই পারেন। কিন্তু সীমান্তে সাম্প্রতিক ভারত পাকিস্তান অস্থিরতাকে কেন্দ্র করে এই দুই দেশ থেকেই মুখ ফিরিয়েছেন ভারতীয় পর্যটকেরা। তা হলে বিকল্প গন্তব্য কী কী হতে পারে?
‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর ভারত-পাকিস্তান রাজনৈতিক অস্থিরতা যখন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তখন জানা যায় পশ্চিম এশিয়ার তুরস্ক এবং আজ়ারবাইজান— দুই দেশ পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছে। এমনিতে এই দুই দেশের অর্থনীতিই অনেকাংশে পর্যটন নির্ভর। প্রত্যেক বছর ভারত থেকে বড় সংখ্যায় পর্যটকেরা তুরস্ক এবং আজ়ারবাইজানে ঘুরতে যান। কিন্তু বুধবার দেশের প্রথম সারির একাধিক ভ্রমণ সংস্থা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, বড় সংখ্যায় পর্যটকেরা তুরস্ক এবং আজ়ারবাইজানের বুকিং বাতিল করছেন। অনেকেই মনে করছেন, এই মুহূর্তে ভারতীয়দের ক্ষেত্রে এই দুই দেশে পর্যটন নিরাপদ না-ও হতে পারে। কিন্তু ঘুরতে যেতে চাইলে এই দুই দেশের পরিবর্তে ৩টি বিকল্প জায়গার কথা ভেবে দেখতে পারেন।
১) জর্জিয়া: তুরস্ক এবং আজ়ারাইজানের মতোই নয়নাভিরাম দৃশ্যপট চাইলে জর্জিয়া হয়ে উঠতে পারে আপনার পরবর্তী গন্তব্য। সেখানে রয়েছে প্রাচীন ইতিহাস এবং সংস্কৃতির হাতছানি। রাজধানী টিবলিসিতে প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্য— দুই সংস্কৃতির ছাপ রয়েছে। জর্জিয়ার স্থানীয় খাবার বৈচিত্রপূর্ণ। টিবলিসি ছাড়াও ঘুরে আসা যায় উপকূলবর্তী শহর বাটুমি থেকে। ট্রেক করতে চাইলে রয়েছে ককেশাস পর্বত।

২) আর্মেনিয়া: তুরস্ক এবং আজ়ারবাইজানের মধ্যবর্তী এই প্রতিবেশী দেশটি পর্যটকেদের পছন্দের জায়গা। রাজধানী ইয়েরেভানের ইতিহাস এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকেদের আকর্ষণ করে। সেভান হ্রদ ছাড়াও আর্মেনিয়ায় গেগহার্ড মনাস্ট্রি রয়েছে। এটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করেছে।

৩) উজবেকিস্তান: রেশম পথের ইতিহাস, মুসলিম স্থাপত্য নিয়ে দেশটি পর্যটকদের আহ্বান জানায়। উজবেকিস্তানের সমরখন্দ, বুখারা বা খিভাকে ইউনেস্কো ওয়াল্ড্র হেরিটেজ ঘোষণা করেছে। এ ছাড়াও, তাসখন্দ বা ফরজ়ানা উপত্যকাও পর্যটকদের গন্তব্য তালিকায় থাকে। চেকে দেখতে পারেন প্লোভ এবং সামসার মতো স্থানীয় খাবার।

তুরস্ক এবং আজ়ারবাইজান ভ্রমণের খরচের সঙ্গে প্রতিবেদনে উল্লেখ্য তিনটি গন্তব্যের খরচের ফারাক রয়েছে। যেমন তুরস্কের তুলনায় জর্জিয়া, আর্মেনিয়া এবং উজবেকিস্তান ভ্রমণের খরচ অনেকটাই কম। আবার আজ়ারবাইজানের তুলনায় উজবেকিস্তানের খরচের পার্থক্য খুব বেশি নয়। তবে পর্যটন মরসুমে সমস্ত গন্তব্যের খরচ সামান্য বাড়তে পারে।