“চাকরিটা শুধু তৃণমূল কর্মীরা পাবে,” সাম্প্রতিক অতীতের বিতর্কিত এক ভাইরাল ভিডিও নিয়ে মুখ খুললেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বৃহস্পতিবার তিনি বললেন, “আবারও বলছি, শুধু তৃণমূলীরাই চাকরি পাবে।”
একটি জনসভায় তিনি বলেছিলেন, “শুধু তৃণমূলীরাই চাকরি পাবে। এটা ভেরি সিম্পল। আর কিছু নয়। কোথায় পাবে, কীভাবে পাবে, কেন পাবে সে সব আমি বলব না। কিন্তু এটা হবে। এটা হবে। এটা হয়েছে। এবং আগামী দিনেও হবে।”
বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে একটি সংবাদ মাধ্যমে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “যে সময়ে দমদমে এটা বলেছিলাম, দল থেকে বলা হচ্ছিল কর্মিসভা কর। পুরভোট হবে। যদিও পুরভোট সেই সময় হয়নি। কিন্তু আমি কি কোনও দফতরের কথা বলেছিলাম? বলেছিলাম তৃণমূল করলে চাকরি হবে। আমার ছেলেমেয়েদের আর কী বলব? আমি বলব সিপিএম-এর ছেলেমেয়েদের চাকরি হবে? বিজেপি-র ছেলেমেয়েদের চাকরি হবে?
চাকরি তো হবে মেধার ভিত্তিতে। কেন তৃণমূল করলে হবে? এই প্রশ্নের উত্তরে ব্রাত্যবাবু বলেন,“আমি চাকরির সুপারিশ করতেই পারি জনপ্রতিনিধি হিসাবে। আমি বিধায়ক হিসাবে কথা বলছি কিন্তু। দমদমে যখন কথা বলছি কোনও সরকারি দফতরের হয়ে কথা বলছি না। সব চাকরি মেধার ভিত্তিতে হয় নাকি?
আমি চাকরি দিয়েছি। আবারও দেব। মন্ত্রীর কোটার চাকরি। আগেই ঠিক হয়েছিল মন্ত্রীপিছু দুজন করে চাকরি দিতে পারবে। ২০১১-তে আমরা ক্ষমতায় আসার পর সেটা তিন জন করে হয়। এবং, আপনি যদি ২০১১ থেকে ধরেন তাহলে সব মিলিয়ে সংখ্যাটা কিন্তু বড় সংখ্যা। আমার কোটার নায্য চাকরি তৃণমূলের ছেলেমেয়েদেরই দিয়েছি।
দমদমে অন্তত ৫০০ পোর্টাল আছে। ২০১১ থেকে যে ৬০-৭০ জনের চাকরি দিয়েছি তাদের তালিকা আমি দিয়ে দিচ্ছি। যদি কারও কাছ থেকে একটা আলপিন নিয়েছি, রুমাল নিয়েছি, সন্দেশ খেয়েছি, তাহলে বলুন। টাকাপয়সা ছেড়ে দিন। রাজনীতি ছেড়ে দেব। আমি আমার কোটার চাকরির কথা রাজনৈতিক সভায় বলেছি। চাকরি দিয়েছি। আবার দেব। যতদিন আমার হাতে সুযোগ থাকবে তাতদিন দেব। দমদমে আমার কর্মিসভায় আমিয়কার প্রতিনিধি? অবশ্যই তৃণমূলের প্রতিনিধি।