প্রায় দু’দশকের ফারাক দু’জনের মধ্যে। তবে শঙ্খ ঘোষ শুধু অভিভাবক ছিলেন না তাঁর কাছে, ছিলেন অগ্রজ সমান। তাঁর প্রয়াণে ‘নিঃস্ব’ হলেন কবি জয় গোস্বামী। শঙ্খ ঘোষের প্রয়াণে শুধুমাত্র বাংলা সাহিত্যজগতই নয়, ব্যক্তিগত ভাবে তাঁর অপূরণীয় ক্ষতি হল, জানালেন জয়।
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বাড়িতেই করোনার সঙ্গে যুঝছিলেন শঙ্খ ঘোষ। তাঁর সংক্রমিত হওয়ার খবরে দুশ্চিন্তার ছায়া নেমে এসেছিল বাংলা সাহিত্যজগতে। আশঙ্কাকে সত্যি করে বুধবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কবি।
সে খবর পেয়েই শোকস্তব্ধ হয়ে যান শঙ্খ ঘোষের ‘শিষ্য’ জয়। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘বাংলা সাহিত্যজগতে মহা বটবৃক্ষের পতন ঘটল। তরুণ কবি এবং লেখকদের মাথার উপর পিতা এবং অভিভাবকস্বরূপ বিরাজ করছিলেন উনি। জাতির বিবেক হিসেবে ছিলেন। মাথার উপর থেকে সেই আশ্রয় সরে গেল। নিঃস্ব হলাম।’’
শঙ্খ ঘোষ (১৯৩২-২০২১)
তাঁর কবিতার খাতায় আঁচড় কাটার নেপথ্যে শঙ্খ ঘোষের কী ভূমিকা, একাধিক বার তা জয়ের মুখে উঠে এসেছে। গুরুপ্রণাম হিসেবে ‘জয়ের শঙ্খ’ বইও লিখেছেন তিনি। প্রায় ৪৫ বছরের পরিচিতি দু’জনের। জয়ের কথায়, ‘‘আমার কী হারাল তা, আমিই জানি। আর বাংলা সাহিত্যজগৎ কী হারাল, তা যত দিন যাবে, ততই বুঝবে সকলে।’’