‘আইনের সুবিধাগুলি কৃষকদের বোঝাতে পারিনি’, আক্ষেপের সুর আরও এক নরেন্দ্রর গলায়

শুক্রবারই ঐতিহাসিক এক ঘোষণার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়ে দেন যে কেন্দ্র তিন বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করবে। প্রধানমন্ত্রী জানান, কৃষকদের বোঝাতে না পেরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁর সরকার। আর প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর এই একই আক্ষেপের সুর কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের গলায়। সরকারের ‘ব্যর্থতা’র কারণেই যে এই পরিস্থিতি তা বকলমে মেনে নেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করতেই নরেন্দ্র সিং তোমর বলেন, ‘সংসদে পাস হওয়া তিনটি বিল নিয়ে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এতে কৃষকদের উপকার হত। প্রধানমন্ত্রীর স্বচ্ছ উদ্দেশ্য ছিল কৃষকদের জীবনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার। কিন্তু আমি ব্যথিত যে আমরা দেশের কিছু কৃষকদের এই আইন সংক্রান্ত সুবিধা ব্যাখ্যা করতে ব্যর্থ হয়েছি।’ মন্ত্রীর দাবি, সরকার কৃষকদের কল্যাণ ও কৃষি খাতের উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।https://www.youtube.com/embed/CC1kbk32JGg

তোমর বলেন, প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে শূন্য বাজেটের চাষ, ন্যূনতম সমর্থন মূল্য (এমএসপি) এবং শস্য বৈচিত্র্য সম্পর্কিত সমস্যাগুলি মোকাবিলা করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে। কমিটিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি কৃষক, কৃষি বিজ্ঞানী এবং অর্থনীতিবিদরা থাকবেন।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী আজকেই কৃষকদের বাড়ি ফেরার অনুরোধ করলেও দিল্লি সীমানা থেকে যে আজকেই আন্দোলকারীরা ফিরছেন না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন কৃষক নেতা রাকেশ তিকাইত। গত প্রায় এক বছরে যেই স্থানগুলি কৃষকদের দুর্গে পরিণত হয়েছে, সেখানে খুশির হাওয়া স্পষ্ট হলেও ছিল প্রত্যয়ের দৃঢ়তা। শুধু কৃষি আইন প্রত্যাহার নয়, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, কিষান মান্ডির ক্ষমতা বৃদ্ধি-সহ আরও একাধিক দাবি ছিল কৃষকদের। আইনগুলি প্রত্যাহারের দাবি মানা হলেও বাকি দাবিগুলির কী হবে, সেটাও একটা প্রশ্ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.