ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ, ফের একবার আতঙ্ক সুন্দরবনবাসীর চোখে

আরও একটি ঘূর্ণিঝড়, ফের একবার সুন্দরবনের চোখে আতঙ্ক। তবে আমফান, ইয়াসের মতো ঘূর্ণিঝড়গুলির মতো যাতে ক্ষয়ক্ষতি না হয়, তার জন্য আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে সুন্দরবনে। উপকূলেক জেলাগুলিতে রাজ্য পুলিশ মাইকিংয়ের মাধ্যমে স্থানীয়দের সতর্ক করছে আসন্ন দুর্যোগ নিয়ে। এদিকে মাঝসমুদ্র থেকে মৎস্যজীবীদের ফিরতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে দোসর হবে ঝোড়ো হাওয়া৷ ফলে আগে থেকেই সতর্ক প্রশাসন৷ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তরফে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। উপকূল রক্ষী বাহিনীকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। বিপদকালীন আশ্রয়স্থল খোলা হচ্ছে।

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, থাইল্যান্ড থেকে আন্দামান সাগর হয়ে বঙ্গোপসাগরে আছড়ে পড়তে পারে নিম্নচাপ ‘জাওয়াদ।’ ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের জেরে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় জেলাগুলিতে অতিভারী বৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় বইতে পারে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া। তাই প্রশাসনের তরফ থেকে এলাকায় মাইকিং করে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। জনজীবন নিরাপদস্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দীঘা, মন্দারমনির হোটেলগুলি ইতিমধ্যেই খালি করা হয়েছে।  এমনিতেই অতিবৃষ্টি বা ঘূর্ণিঝড় এলেই ভেসে যায় সুন্দরবন, পূর্ব মেদিনীপুরের ঘাটাল, দাসপুরের মতো এলাকা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে ইতিমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১২টি দল মোতায়েন করা হয়েছে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

এদিকে আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনায় ফের ভুগতে হতে পারে বাংলার কৃষকদের। রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এ বছর বারবার বৃষ্টি মরসুমি চাষের প্রবল ক্ষতি করেছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে আবারও সপ্তাহের শেষে প্রবল বৃষ্টিপাত হতে পারে কয়েকটি জেলায়। এই অবস্থায় দুই ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হুগলি, নদিয়া, হাওড়া, মুর্শিদাবাদ, মালদা জেলার জেলাশাসকদের সতর্ক করছে নবান্ন। দ্রুত মাঠের ধান কেটে নেওয়ার পাশাপাশি আলুচাষিদের চারা লাগাতে নিষেধ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.