হিজাব পরে শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় রাজ্য জুড়ে বেশ কয়েকটি শিক্ষার্থী দ্বিতীয় প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় কোর্সের প্র্যাক্টিকাল পরীক্ষা বয়কট করেছে। গত জিসেম্বরে উদুপির প্রি-ইউনিভার্সিটি গার্লস কলেজে এই আন্দোলন শুরু করেছিলেন ছয় শিক্ষার্থী। তাঁরাও সোমবারের পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
বিজয়পুরা জেলার ৪০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী তাদের হিজাব খুলে ফেলতে বলায় পরীক্ষা বয়কট করেন এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন। হাসানের মহিলা পলিটেকনিক কলেজে প্রায় ১০ জন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে প্রবেশের আগে তাদের হিজাব খুলতে অস্বীকার করেন। এরপর শিক্ষার্থীরা হিজাব পরে ক্লাসে প্রবেশের দাবিতে অধ্যক্ষের সাথে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন, তবে তাদের বাড়ি ফিরে যেতে হয়েছিল।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
মাদিকেরি জুনিয়র কলেজের ন’জন শিক্ষার্থী তাঁদের প্রতিষ্ঠানের গেটে নীরব প্রতিবাদ করেন। এদিকে কোলার সরকারি প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের হিজাব পরে ক্লাসরুমে যেতে না দেওয়ার ক্ষেত্রে অধ্যক্ষের কাছ থেকে একটি চিঠি দাবি করেন। তাঁদের দাবি, যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কলেজ উন্নয়ন কমিটি নেই সেসব কলেজে শিক্ষার্থীদের প্রবেশে আদালত সম্মতি দিয়েছেন। তারা বিক্ষোভও করেছেন, তবে তাঁদের ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চলমান হিজাব বিতর্কের কারণে কলেজগুলি বন্ধ থাকায় তা স্থগিত করা হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে হিজাব বিতর্কের মধ্যেই স্কুলের পরীক্ষা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ করতে পারে কর্নাটক সরকার। এমনই ইঙ্গিত মিলল সরকারি এক কর্তার মন্তব্যে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি আধিকারিক বলেন, ‘আমরা কলেজগুলিকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছি যে যারা পরীক্ষা দেবে তাদের আর পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে না।’ তবে তা সত্ত্বেও হিজাব বিতর্কে বহু পরীক্ষার্থী হিজাব পরার বিষয়ে অনড় থেকে পরীক্ষায় বসেননি।