লেক (রবীন্দ্র সরোবর) বাঁচাতে ভোটের ডামাডোলের মাঝেই মানববন্ধনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন পরিবেশবাদীরা। ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে হবে এই মানববন্ধন।
একটি বেসরকারি সংস্থাকে লিজ দেওয়া হচ্ছে সরোবরের ফাঁকা জায়গা। এই হস্তান্তর বেআইনি বলে দাবি করেছেন পরিবেশবাদীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, সরোবর বাঁচাও আন্দোলন রাজনীতি ও ধর্মের ঊর্ধ্বে হওয়া উচিত। ৩ একর সবুজ জমি পুনরুদ্ধার করার জন্য আমাদের উদ্যোগে যোগ দেওয়া উচিত সকলের।
লেকপ্রেমীরা এবং ‘সেভ রবীন্দ্র সরোবর ফোরাম’ কেএমডিএ-র কাছে স্পোর্টস অ্যাকাডেমি তৈরির জন্য বেসরকারি সংস্থাকে তিন একর জমি ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। একইসঙ্গে রবীন্দ্র সরোবর জলাশয় ও সংলগ্ন সবুজ সংরক্ষণ এবং পুনরুদ্ধারের জন্য মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
রবীন্দ্র সরোবরে প্রাতঃর্ভ্রমণ করতে আসা ব্যক্তি, ক্রীড়াবিদ এবং সহ-নাগরিকদের বক্তব্য, “সম্পত্তি বিক্রি করা, লিজ দেওয়া ভুল সিদ্ধান্ত৷ কলকাতার ঐতিহ্য এবং ফুসফুস অর্থাৎ রবীন্দ্র সরোবর নিয়ে কীভাবে এমন বাজে কাজ করা হচ্ছে? নয় বছর ধরে স্টেডিয়াম বন্ধ কেন? ক্রীড়াবিদদের জন্য পরিকাঠামো ও স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা নেই কেন? কেন ক্রীড়াবিদ ও প্রাতঃর্ভ্রমণকারীদের জন্য নির্দিষ্ট মাঠে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে? অডিট রিপোর্ট জমা হচ্ছে না কেন? রবীন্দ্র সরোবরে ক্রমাগত হামলা সহ্য করা হবে না।
পরিবেশবিদ এসএম ঘোষ, সমীর বোস, সহ-নাগরিক সমাজের সুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস নেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ বলেন, “পরিবেশগত ভারসাম্য এবং জীববৈচিত্র্য আমাদের আন্দোলনের প্রধান বিষয়। কিন্তু, রবীন্দ্রসরোবরের ইকো সিস্টেম ক্রমশ খারাপ অবস্থার দিকে এগোচ্ছে।”
তাঁরা বলেন, “অন্যান্য ক্রীড়া কর্মীরাও অবিলম্বে ফুটবল এবং অ্যাথলেটিকদের জন্য রবীন্দ্রসরোবর স্টেডিয়াম স্পোর্টস কমপ্লেক্স খোলার জন্য সোচ্চার হয়েছেন।” দীর্ঘদিন ধরে স্টেডিয়ামটি ব্যবহার করা হচ্ছে না।