তিনি অভিনেতা হিসাবে যেমন আলোচিত। পরিচালক হিসাবেও ততটাই প্রশংসিত। সম্প্রতি ব্যক্তিগত জীবনের জন্য তাঁকে নিয়ে আলোচনা আরও বেশি বেড়েছে। কিছু দিন আগেই জানিয়েছেন পরিবার বড় হচ্ছে। বাবা হচ্ছেন। সুখবরের মাঝে চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে টলিপাড়ার বিখ্যাত নায়ক তথা পরিচালকের। তাঁর মাসিক কিস্তি নাকি ১৫ লক্ষ টাকা। ধার মেটাতে তাই নাকি একের পর এক কাজ করে চলেছেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, কাজ নির্বাচনের ক্ষেত্রে আর বেশি বাছবিচার করছেন না অভিনেতা। তারকা তকমা থাকার সুবাদে কাছের বন্ধুদের থেকে নাকি কয়েক কোটি ধারও করতে হয়েছে অভিনেতাকে। তবে একার পক্ষে এত টাকার মাসিক কিস্তি বহন করা অনেকটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সদ্য মুক্তি পেয়েছে তাঁর পরিচালিত একটি ওয়েব সিরিজ়, যা দেখে দর্শক মুগ্ধ। কিন্তু এত টাকার দেনায় জর্জরিত হলেন কেন অভিনেতা? শোনা যাচ্ছে, এ ক্ষেত্রে অভিনেতা তথা পরিচালকের কোনও দোষ নেই। উল্টে অন্যদের জন্য তাঁকে নাকি এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। অভিনেতার একটি প্রযোজনা সংস্থা আছে। প্রযোজক হিসাবেও বেশ কিছু ছবির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। এই ব্যবসার সূত্রেই শহরের আরও একটি আলোচিত প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন তিনি। যেখানে কয়েক কোটি টাকা নাকি বিনিয়োগও করেছিলেন। তার পরেই নাকি ঘটেছে বিপত্তি। সেই প্রযোজনা সংস্থা নাকি প্রায় বন্ধ হওয়ার মুখে। এর ফলে নাকি বিপদে পড়েছেন তিনি। তবে তাঁর এই বিপদে নাকি ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে তার সহকর্মীরা। টলিপাড়ার প্রথম সারির বেশ কিছু প্রযোজনা সংস্থা, পরিচালকেরা নাকি টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন তাঁকে। অভিনেতাও চেষ্টা করছেন সব ধার তাড়াতাড়ি শোধ করে দেওয়ার।