২ সেপ্টেম্বরে কৌশিকী অমাবস্যা থেকেই শুরু হল দ্বারকা নদীতে সন্ধ্যা আরতি। নাম দেওয়া হয়েছে গঙ্গা-আরতি। মন্দিরের পাঁচ জন সেবাইত প্রথম আরতি শুরু করলেন। এই আরতি দেখতে দ্বারক নদের চারিদিকে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়।
সোমবার ভোর থেকে শুরু হয়েছে কৌশিকী অমাবস্যা। এই বিশেষ দিনে লক্ষ লক্ষ পুন্যার্থী তারাপীঠে ভিড় জমান। এই বিশেষ দিনে মা তারার পুজো দিলে মনস্কামনা পূরণ হয় বলে পুন্যার্থীদের বিশ্বাস। তাই এবারও রাজ্য ছাড়িয়ে বিহার, ঝাড়খণ্ড, অসম থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় জমিয়েছেন তারাপীঠে। এই বিশেষ দিনে গঙ্গা-আরতি শুরু করতে পেরে খুশি প্রশাসন থেকে মন্দির কমিটি।
জেলা শাসক বিধান রায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনা দীর্ঘদিন পর বাস্তবে রূপ পেল। ইতিমধ্যে আরতির জন্য দ্বারকা নদের পশ্চিমপাড়ে ঘাট তৈরি করেছে তারাপীঠ – রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ। সেই ঘাটেই আরতি শুরু করা হল। এই আরতি তারাপীঠে আসা পুন্যার্থীদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।”
তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায়, সম্পাদক ধ্রুব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দ্বারকা নদ এখানে উত্তর দিকে প্রবাহিত। ফলে দ্বারকা নদকে এখানে গঙ্গা রূপে পুজো করা হয়। তাই এখানে গঙ্গা-আরতি করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো নদীর পশ্চিম পাড়ে পার্ক গড়া হয়েছে। আরতির জন্য কংক্রিটের ঘাট নির্মাণ করা হয়েছিল। সেখানেই পঞ্চপ্রদীপ সহযোগে পাঁচ জন সেবাইত আরতি করলেন”।
এখন বর্ষার মরসুম। ফলে নদীর কানায় কানায় জল রয়েছে। কিন্তু বাকি সময় নদীতে জল থাকে না। সে সময় কিভাবে আরতি হবে? পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান সুকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, “নদীতে যাতে সারা বছর জল থাকে তার ব্যবস্থা করা হয়েছে”।
প্রথম দিন গঙ্গা-আরতি দেখতে মানুষের উপচে পড়া সমাগম হয়েছিল। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আগে থেকেই পর্ষদের পক্ষ থেকে কবিচন্দ্রপুর সেতু, এবং নদীর ধার বরাবর স্থায়ী রেলিং দেওয়া হয়েছিল। নদীর ঘাট বাঁশ এবং নেট দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছিল।