হাওড়ায় অশান্তির মধ্যে পুলিশের শীর্ষস্তরে রদবদল করল রাজ্য সরকার। হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার পদে আইপিএস প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠীকে বসানো হল। আইপিএস স্বাতী ভাঙ্গালিয়াকে হাওড়া গ্রামীণের সুপার পদে বসানো হয়েছে। যে পদে আগে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক লাভলি মৈত্রের স্বামী সৌম্য রায়।
রাজ্য সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনারের পদ থেকে সি সুধাকরকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাঁকে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার করে পাঠানো হয়েছে। হাওড়া কমিশনারটের কমিশনার পদে আইপিএস প্রবীণকুমার ত্রিপাঠীকে পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। যিনি এতদিন কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
একইভাবে হাওড়া গ্রামীণের সুপার পদ থেকে আইপিএস সৌম্য রায়কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে কলকাতা পুলিশের (দক্ষিণ-পশ্চিম) ডেপুটি পুলিশ কমিশনার করা হচ্ছে। এতদিন যে পদে ছিলেন স্বাতী ভাঙ্গালিয়া। আইপিএস স্বাতীকে হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপার হিসেবে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মার মন্তব্যের জেরে অশান্ত হয়ে উঠেছে হাওড়া। প্রতিবাদের নামে কার্যত তাণ্ডব চলেছে। সেই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক টানাপোড়েনও শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ১০০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে হিংসা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি এবং পুলিশ কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
তারইমধ্যে মানুষজনকে শান্ত হওয়ার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘ষড়যন্ত্রের’ তত্ত্ব খাড়া করে শনিবার মমতা বলেন, ‘আগেও বলেছি, দু’দিন ধরে হাওড়ার জনজীবন স্তব্ধ করে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটানো হচ্ছে । এর পিছনে কিছু রাজনৈতিক দল আছে এবং তারা দাঙ্গা করাতে চায়- কিন্তু এসব বরদাস্ত করা হবে না এবং এ সবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা হবে। পাপ করল বিজেপি, কষ্ট করবে জনগণ?’