গত দুমাসে তিনবার রেল দুর্ঘটনা। বহু মানুষের প্রাণহানি। রেলের গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বারবার। এহেন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার লাইনচ্যুত হল হাওড়া-মুম্বই মেল। সেই দুর্ঘটনার নেপথ্যেও রয়েছে রেলের গাফিলতি, এমনটাই অনুমান বিশেষজ্ঞদের। উল্লেখ্য, চক্রধরপুরের কাছে হওয়া এই দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোর পৌনে চারটে নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে জামশেদপুর (Jamshedpur) থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে বডাবাম্বুতে। লাইনচ্যুত হয় অন্তত ১৮টি বগি। লাইনচ্যুত হওয়া ১৮টি কামরার মধ্যে ১৬টিই যাত্রিবাহী কামরা। এছাড়াও বেলাইন হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগের কামরা এবং প্যান্ট্রি কার। এই ট্রেনটির অদূরেই লাইনচ্যুত হয় আরেকটি মালগাড়িও। সিংভূম জেলার পুলিশ আধিকারিক জানান দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা বেড়ে ২০।
ঘটনার পরেই প্রশ্ন ওঠে, একই এলাকায় দুটি ট্রেন লাইনচ্যুত হল কী করে? দুর্ঘটনার পরে দক্ষিণ পূর্বের রেলের ট্রেন ম্যানেজার মহম্মদ রেহান বলেন, “ভোর ৩:৩৯ নাগাদ মেল ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে হাওড়া-মুম্বই মেল লাইনচ্যুত হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই বেলাইন হয়েছিল একটি মালগাড়ি। ডাউন লাইনে এই দুর্ঘটনার প্রভাব পড়ে আপ লাইনেও। সেসময় ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে যাচ্ছিল মুম্বইগামী ট্রেনটি।”
রেলের (Indian Railways) এই বিবৃতির পরেই প্রশ্ন উঠছে, মালগাড়ি দুর্ঘটনার খবর পেয়েও কেন মুম্বই মেলকে এগিয়ে যাওয়ার সংকেত দেওয়া হল? কেনই বা গতি কমাতে বলা হল না যাত্রীবাহী ট্রেনকে? সূত্রের খবর, শেষ পেরনো স্টেশন থেকে মুম্বই মেলের ঘটনাস্থলের দূরত্ব মাত্র পাঁচ মিনিট। তাহলে কেন সতর্ক করা হল না মেল ট্রেনের চালককে? প্রশ্ন উঠছে স্থানীয় স্টেশনমাস্টারের ভূমিকায়। চক্রধরপুরের দুর্ঘটনায় ফের প্রকট হল রেলের গাফিলতির অভিযোগ।