Howrah: বাগনানের গ্রামে দেখা মিলল বিলুপ্তপ্রায় ময়ূরী কচ্ছপের! ছাত্রীর চেষ্টায় রক্ষা পেল ৯ কেজির প্রাণীটি…

বাগনান বৈদ্যনাথপুর গ্রামের স্কুলছাত্রী অঙ্কিতা পাঁজা স্কুলে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল। হঠাৎই জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে সে অবাক! কী হয়েছে? সে দেখতে পায় একটি বিশালাকার কচ্ছপ তথা কাছিম পাশের ডোবা থেকে উঠে রাস্তা পার হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে সে তার মা রীনা পাঁজাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে রাস্তা থেকে ওই কাছিমটিকে তুলে নিয়ে বাড়ি চলে আসে।

এরপরই তাদের চেষ্টায় দ্রুত খবর দেওয়া হয় ‘হাওড়া জেলা যৌথ পরিবেশমঞ্চ’কে।  ঘটনাস্থলে যান পরিবেশকর্মী চিত্রক প্রামাণিক, ঝিন্দন প্রধান ও সুপ্রকাশ আদক। তাঁরা গিয়ে এর পরিচয় দেন। গ্রামবাসীদের জানান, এটিকে ‘ইন্ডিয়ান পিকক সফ্টশেল টার্টল’ বা ‘ভারতীয় ময়ূরী কাছিম’  বলে। তাঁরা গ্রামের মানুষকে এই বিলুপ্তপ্রায় কাছিম রক্ষার বিষয়ে সচেতনও করেন।

এরপর বন বিভাগের সঙ্গে পরামর্শ করে বৈদ্যনাথপুর গ্রামেরই একটি জলাভূমিতে ময়ূরী কাছিমটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বন্যপ্রাণ সংরক্ষণকারী চিত্রক প্রামাণিক বলেন, এই ময়ূরী কাছিম বা ‘পিকক সফটশেল টার্টেল’ ‘২০২২ ভারতীয় বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ পরিমার্জিত আইন’ অনুযায়ী সর্বোচ্চ সংরক্ষণের আওতায় তফসিলি-১-এর অন্তর্ভুক্ত। একে শিকার করলে ও বাড়িতে আটকে রাখলে কয়েক বছরের জেল ও জরিমানা হয়। 

জানা গিয়েছে ক্রমাগত জলাভূমি নষ্ট ও শিকারের কারণে এর সংখ্যা কমছে। ‘আইইউসিএন রেড লিস্টে’ এই ‘ইন্ডিয়ান পিকক সফ্টশেল টার্টল’ বা ‘ভারতীয় ময়ূরী কাছিম’কে ‘ভালনারেবল স্পিসিস’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.