কোভিড পরিস্থিতিতে বিধানসভা ভোটের ঢাকে কাঠি পড়েছে। সুষ্ঠুভাবে ভোটপর্ব মেটাতে মানতে কড়া কোভিড প্রোটোকল। মঙ্গলবার এ বিষয়ে একপ্রস্থ নির্দেশিকা জারি করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। বিহারের মতোই সফলভাবে বাংলার নির্বাচন সারতে এই নির্দেশিকাগুলি মানতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে কমিশন।
প্রতিবার নির্বাচনের সময় জেলাপিছু নোডাল অফিসার থাকেন। যাঁরা মূলত আইনশৃঙ্খলার দিকে নজর রাখেন। এবার কোভিড পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হচ্ছে প্রতি জেলায়। রাজ্যে এটাই প্রথমবার। এর আগে বিহার নির্বাচনের সময় এই নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, স্বাস্থ্যভবনের সচিবকে এই পদে নিয়োগ করা হবে। ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন মানতে হবে নির্দিষ্ট নিয়মবিধি।
কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, মনোনয়ন জমা করার সময় প্রার্থীরা নিজেদের এজেন্ট ও কর্মী-সহ চারজন একসঙ্গে রিটার্নিং অফিসারের কাছে যেতে পারতেন। কোভিড পরিস্থিতির জন্য একসঙ্গে ২ জনের বেশি রিটার্নিং অফিসারের কাছে প্রবেশ করতে পারবেন না। মনোনয়নপত্র জমা করতে আসার সময় প্রার্থীরা মিছিল করতে পারবেন না। বদলে ১০ বা ২০ জনকে নিয়ে গিয়ে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা করতে পারবেন। যদিও এই সংখ্যাটা নির্ধারণ করবে স্থানীয় প্রশাসন।
ভোটদানের ক্ষেত্রেও একাধিক নিয়ম থাকছে। ভোটকর্মীরা গ্লাভস পরে থাকতে হবে। ব্যবহার করতে হবে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার। অন্যদিকে যাঁরা ভোট দিতে আসবেন তাঁদের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের চেয়ে বেশি হয় তাঁদের লাইনে দাঁড়াতে হবে না। এই নিয়মগুলি যাতে সঠিকভাবে প্রার্থী এবং ভোটারদের জানিয়ে দেওয়া হয়, সেই নির্দেশও এদিন দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাজ্যে আসার কথা ছিল উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের। কিন্তু সেই দিনক্ষণও এগিয়ে এসেছে। বুধবার রাতেই শহরে পা রাখছেন তিনি। জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক সারবেন তিনি। বসবেন রাজ্য প্রশাসনের কর্তা ও পুলিশের ডিজিদের সঙ্গেও। বৃহস্পতিবার দিনভর দফায়-দফায় বৈঠকে বসবেন তিনি।শুক্রবার সকালে কাছাকাছি কিছু ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখবেন সুদীপ জৈন। সেখানে কোভিডবিধি মানা হচ্ছে না কিনা, তা খতিয়ে দেখবেন তিনি।