রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ভারতই ভরসা। মোদিমন্ত্রেই শান্তির পথ খুঁজতে চায় যুযুধান দুদেশ। এই মুহূর্তে রাশিয়ায় রয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। বুধবার তিনি বৈঠকে বসেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা সের্গেই শোইগুর সঙ্গে। খুব শীঘ্রই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাতে যুদ্ধ থামানোর নীল নকশা তুলে দেবেন ভারতের ‘সুপার স্পাই’! এই সংঘাত থামাতে দুদেশের মধ্যে পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করতে প্রস্তুত দিল্লি। এমনটাই জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।
মঙ্গলবার মস্কোতে পা রাখেন অজিত ডোভাল। বুধবার যোগ দেন ব্রিকস-এনএসএ বৈঠকে। সেখানে আলোচনার ফাঁকেই তিনি সাক্ষাৎ করেন শোইগুর সঙ্গে। এনিয়ে রাশিয়ার ভারতীয় দূতাবাস জানায়, মস্কো-দিল্লি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে আলোচনা হয়েছে তাঁদের মধ্যে। আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে মতামত বিনিময় করেছেন তাঁরা। গত আগস্ট মাসেই ইউক্রেন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যুদ্ধ থামাতে মস্কোর সঙ্গে বৈঠকে বসার জন্য কিয়েভকে পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। মনে করা হচ্ছে, নমোর ইউক্রেন সফর নিয়েও শোইগুর সঙ্গে কথা বলেছেন ডোভাল। এছাড়া সূত্রের খবর, পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে শান্তির পথে ফেরার ‘নীল নকশা’ দেবেন তিনি।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার এই সফর নিয়ে জয়শংকর বলেন,”সংঘাত থামানোর সূত্র কখনও রণক্ষেত্রে খুঁজে পাওয়া যাবে না। কূটনৈতিক আলোচনা ও বৈঠকের মাধ্যমেই শান্তির পথে ফিরতে হবে। রাশিয়া-ইউক্রেন দুই পক্ষকেই আলোচনায় বসতে হবে। আমরা চাই এই যুদ্ধের অবসান ঘটুক। এক্ষেত্রে ভারত পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করতে প্রস্তুত।” ফলে পুতিন-ডোভালের সাক্ষাতের দিকেই তাকিয়ে আন্তর্জাতিক মহল।
বিশ্লেষকদের মতে, মোদির পরামর্শে যদি আলোচনায় বসে ইউক্রেন ও রাশিয়া তাহলে তা বিরাট কুটনৈতিক জয় হবে ভারতের। কারণ পুতিনের সঙ্গে মোদির সখ্যের কথা কারও অজানা নয়। এদিকে, তিক্ততা ভুলে জেলেনস্কির কাছে এখন মোদিই ‘শান্তির দূত’। ফলে ভারসাম্যের খেলা খেলে যদি দিল্লি এই যুদ্ধের বন্ধের পথ খুলে দিতে পারে তাহলে তা বিভিন্ন দেশের কাছে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা হবে।