একদিকে যেমন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান বা অন্য বিজ্ঞানীরা বলছেন, যত বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া যায়, তত তাড়াতাড়ি শেষ হবে করোনা উপদ্রব, তেমনই এর উল্টো মতও আছে। হালে এই দাবির উল্টো সুরে গাইলেন ইংল্যান্ডের চিকিৎসক ক্লাইভ ডিক্স।
ইংল্যান্ডের সরকারের ভ্যাকসিন টাস্কফোর্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ক্লাইভ হালে দাবি করেছেন, ইংল্যান্ডকে এবার ‘নিউ নর্মালিটি’তে যেতে হবে। সেখান আর সবাইকে টিকা দেওয়া যাবে না। কোভিডকে এবার ফ্লু হিসাবে ভাবতে হবে। আর তাতেই নাকি শেষ হবে এই রোগটির উপদ্রব। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
হালে ইংল্যান্ডে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, এটি কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করার অ্যান্টিবডি ভালো মতো জোগান দিচ্ছে। কিন্তু এখানেই আপত্তি ক্লাইভের। তাঁর বক্তব্য, অনেকের শরীরেই পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে। তাঁদের আলাদা করে বুস্টার দেওয়ার কোনও অর্থ হয় না। এমনকী সবাইকে টিকা দেওয়ার প্রয়োজনও নেই।
তাহলে কাদের টিকা দিতে হবে? ক্লাইভের বক্তব্য, যাঁদের কঠিন অসুখ আছে, কো-মর্বিডিটির মতো সমস্যা আছে, যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে কোনও অসুখে ভুগছেন বলে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে না, তাঁদের জন্যই শুধু রাখতে হবে এই ভ্যাকসিন। বাকি সকলকে টিকা দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।
এবার থেকে কীভাবে দেখতে হবে কোভিডকে? তাঁর বক্তব্য সাধারণ ফ্লু হিসাবে দেখতে হবে এই সংক্রমণকে। এমনকী সকলের কোভিডের পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন আছে বলেও তিনি মনে করেন না। ইংল্যান্ডের এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘সকলের কোভিড পরীক্ষার দরকার নেই। যাঁরা অসুস্থ বোধ করছেন, তাঁরা নিজেদের আইসোলেশনে রাখবেন। সুস্থ হয়ে গেলে আবার কাজে ফিরবেন। মারাত্মক ফ্লুয়ের মরশুমে আমরা তো এভাবেই থাকি। সেই নিয়মই মেনে চলতে হবে।’
তবে ক্লাইভের এই দাবি, কত দূর যুক্তিসঙ্গত, তা নিয়ে এখনও মন্তব্য অন্য কোনও বিজ্ঞানী বা চিকিৎসক। ইংল্যান্ডে টিকাকরণের নীতিতেও কিছু বদল আসছে কি না, তাও জানা যায়নি।