স্কুল চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগের মামলায় আপাতত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হল না। তবে যে ২৫ জনের নিয়োগ নিয়ে যাবতীয় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
বুধবার হাইকোর্টে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) তরফে জানানো হয়েছে, যে ২৫ জনের নিয়োগ তুলে ধরে মামলা করা হয়েছে, তাঁদের নামের কোনও সুপারিশ করেনি কমিশন। ২০১৯ সালের মে’র পর নিয়োগ নিয়ে কোনও সুপারিশ করা হয়নি। যদিও হাইকোর্টের তরফে বিস্ময় প্রকাশ করে প্রশ্ন করা হয়, ওই ২৫ জনের মেমো নম্বরে অসংগতি আছে। সেটা কীভাবে সম্ভব? কমিশনের তরফে দাবি করা হয়, ওই ২৫ জনের নিয়োগ ভুয়ো। তাঁদের নিয়োগ করেনি কমিশন। অর্থাৎ কমিশনের বক্তব্য অনুযায়ী, কীভাবে ওই ২৫ জন চাকরি পেয়েছেন, তা নিয়ে কমিশনের কাছেও কোনও তথ্য নেই।
সেই প্রেক্ষিতে ওই ২৫ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, আগামিকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুর দুটোর মধ্যে কমিশনকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে যে ২০১৯ সালের ৪ মে’র পর নিয়োগের কোনও সুপারিশপত্র দেওয়া হয়নি। তারইমধ্যে রাজ্যের তরফে কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটির মাধ্যমে তদন্তের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
২০১৬ সালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের যে সুপারিশ করেছিল রাজ্য সরকার, তাতে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ের পর প্যানেল তৈরি করে দেয় কমিশন। অভিযোগ ওঠে, ২০১৯ সালে প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। ২৫ জনকে নিয়োগের বিষয়ে হাইকোর্টে দায়ের করা হয় মামলা। সেই মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার কমিশনের সচিবকে তলব করেছিল হাইকোর্ট। সেইমতো হাইকোর্টে হাজিরা দিতে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েন কমিশনের সচিব। কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, দুপুর তিনটের মধ্যে কমিশনকে আদালতে যাবতীয় তথ্য পেশ করতে হবে। দেওয়া হবে না কোনও বাড়তি সময়। যদি সেটা না হয়, তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে সিআইএসএফ অফিস ঘিরে থাকবে।