ঘূর্ণিঝড় আসছে! ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহলে এই নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। যা পরবর্তী সময়ে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই নিম্নচাপই শক্তি সঞ্চয় করে পরে ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা ধারণ করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হলে তার নাম হবে ‘মোকা’। আপাতত এমন আশঙ্কার কথাই শুনিয়েছে মৌসম ভবন। কিন্তু ঠিক কবে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়? কেমনই বা তার প্রভাব হবে? এই নিয়ে মুখ খুললেন মৌসম ভবনের ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র।
শুক্রবার মৌসম ভবনের ডিরেক্টর মৃত্যুঞ্জয় জানান যে, নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার পরই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে ছবিটা স্পষ্ট হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত একটা পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে মাত্র। ৬ মে, শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর একটা ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। এর পর আগামী ২৪ ঘণ্টায় নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তাঁর কথায়, ‘‘নিম্নচাপ তৈরির পর আগামী ৮ মে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। তার পরই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোবে।’’ ঘূর্ণিঝড় নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে ওড়িশা। ঝড় মোকাবিলায় আগেভাগেই প্রশাসনকে সতর্ক করেছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও করেছেন।
তবে এখনও পর্যন্ত ওড়িশার জন্য বিশেষ কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি বলে জানিয়েছেন মহাপাত্র। এমনকি, ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তার প্রভাব কেমন হবে, সেটা নিয়েও এখনও কোনও পূর্বাভাস জারি করা হয়নি। তিনি বলেছেন, ‘‘গরমের সময় ঘূর্ণিঝড় তৈরির প্রবণতা নতুন নয়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, এই সময় যে সব ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে, তা ওড়িশায় আঘাত হানবে। এখনও পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ নিয়ে কোনও পূর্বাভাস দেওয়া হয়নি। আমরা এমনটাও জানাইনি যে, এর প্রভাব পড়বে ওড়িশায়। নিম্নচাপ তৈরি হলেই সবটা জানা যাবে।’’
গত কয়েক বছরে মে মাসে বেশ কয়েকটি ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে আছড়ে পড়েছে। অতীতে বেশ কয়েকটি ঘূর্ণিঝড় তাণ্ডব চালিয়েছে সে রাজ্যে। তাই এ বার ‘মোকা’ নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছে ওড়িশা। যদিও কোথায় শেষ পর্যন্ত আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড়, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঝড় মোকাবিলায় তৎপর পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনও। ঝড়ের গতিবিধির উপর নজর রাখছে এ রাজ্যের সরকারও।