কলকাতা পুরসভার অধীনে কতগুলি বেআইনি বাড়ি আছে? কতগুলির বিরুদ্ধে পুরসভা পদক্ষেপ করেছে? গার্ডেনরিচের ঘটনার পর তথ্য জানার অধিকার আইনে এমনই একগুচ্ছ প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পুরসভার কাছে ওই প্রশ্নগুলির উত্তর চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি। শুভেন্দু তাঁর আবেদনে ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ১৮ মার্চ পর্যন্ত কলকাতা পুরসভার অধীন এলাকার নির্মাণ সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়েছেন।
শুভেন্দুর আবেদনে যে প্রশ্নগুলি রয়েছে, সেগুলি হল…..
• ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ১৮ মার্চ পর্যন্ত কতগুলি বহুতল নির্মাণের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে?
• ওই আবেদনগুলির মধ্যে কতগুলিতে পুরসভা সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে এবং কতগুলি আবেদন নাকচ করে দিয়েছে?
• যে যে বহুতল নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়নি, তাদের ক্ষেত্রে কিসের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা?
• একই সময়সীমার মধ্যে কতগুলি বহুতল নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে এবং পুরসভা তার শংসাপত্র দিয়েছে?
• কতগুলি বহুতলকে বেআইনি হিসাবে চিহ্নিত করেছে পুরসভা?
• যে বহুতলগুলি বেআইনি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তার মধ্যে কতগুলি ভেঙে ফেলা হয়েছে?
• বেআইনি ভাবে তৈরি কতগুলি বহুতল এখনও ভাঙা হয়নি?
গত রবিবার মধ্যরাতে কলকাতা পুরসভার অধীন গার্ডেনরিচ এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ পাঁচ তলা বহুতল আচমকা ভেঙে পড়ে। তাতে চাপা পড়ে এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বহুতলের পাশেই ছিল টালির চালের ঝুপড়ি। তার উপরে বাড়িটি ভেঙে পড়ায় ঝুপড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। রবিবার রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ঘটনাচক্রে যিনি ওই এলাকার বিধায়ক। ফিরহাদ এবং রাজ্যের আর এক মন্ত্রী সুজিত বসু সারা রাত ঘটনাস্থলে ছিলেন। সোমবার সকালে সেখানে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সারা দিন উদ্ধারকাজ চলেছে। ঘটনায় শুরুতেই প্রোমোটারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে জমির মালিককেও গ্রেফতার করা হয়েছে।