দু’রাত হোটেলে থাকার খরচ এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকা! কোনও বহুজাতিক বিলাসবহুল হোটেল নয়। অযোধ্যার সাধারণ হোটেলে আগামী বছর ২১ থেকে ২৩ জানুয়ারি রাত্রিবাসের জন্য এই টাকাই নিচ্ছেন মালিকেরা। ২২ জানুয়ারি রামলালার ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ অনুষ্ঠান। যোগ দেবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই উপলক্ষেই অযোধ্যা এবং ফৈজাবাদ জেলার হোটেল মালিকেরা ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, ‘রামলালার কৃপায়’ বহু দিন পর তাঁদের ব্যবসা লাভের মুখ দেখেছে।
এমনি সময়ে হোটেলে যে ঘরের ভাড়া দিনে তিন হাজার টাকা, জানুয়ারি মাসে তা হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। হোটেলের ঘরভাড়া প্রায় ২০ গুণ বৃদ্ধি করেছেন মালিকেরা। হোটেলে ভাড়া বৃদ্ধি পেলেও ঘর কিন্তু খালি নেই। উল্টে দর্শনার্থীরা এখন খুঁজছেন ধর্মশালা, অতিথিনিবাস। এমনকি, হোম স্টের খোঁজও করছেন বহু মানুষ। অযোধ্যার হোটেল মালিকদের সংগঠন জানিয়েছে, শহরে মোট হোটেলের সংখ্যা ১৩৮টি। তাতে ঘর রয়েছে চার হাজার। এ ছাড়াও শহরে ৭০টি অতিথিনিবাস, ৫০টি ধর্মশালা এবং ১০০টি হোম স্টে রয়েছে।
অযোধ্যার হোটেল সংগঠনগুলি জানাচ্ছে, বহু দিন পর ব্যবসার শ্রীবৃদ্ধি হচ্ছে তাঁদের। ফৈজাবাদের একটি হোটেলের মালিক শারদ কপূর বলেন, ‘‘অনেক দিন পর অযোধ্যায় হোটেল ব্যবসা লাভের মুখ দেখল। এর জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকারকে ধন্যবাদ দিতে চাই। তারাই জেলার উন্নয়ন ঘটিয়ে পর্যটন বিভাগের ব্যবসায় জোয়ার এনেছেন।’’ তিনি এ-ও জানালেন, দিল্লি, মুম্বই-সহ বড় শহর থেকে বহু দিন আগেই আগাম বুকিংয়ের আবেদন করে ফোন আসছে। আর এক হোটেল মালিক জানিয়েছেন, কোভিডের পর ব্যবসায় মন্দা চলছিল। সেই মন্দা কাটিয়ে ওঠা গিয়েছে।
হোটেলের পাশাপাশি, সরযূ নদীর তীরে ‘তাঁবুর শহর’ গড়ে তুলছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। সেখানেও থাকতে পারবেন দর্শনার্থীরা। অযোধ্যার ম্যাজিস্ট্রেট নীতীশ কুমার জানিয়েছেন, ওই তাঁবুর শহরে ১২০টি ঘর রয়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে সেখানে থাকতে পারবেন দর্শনার্থীরা। দীপাবলির সময় মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ জানিয়েছিলেন, অযোধ্যায় উন্নয়নের কারণে পর্যটন ব্যবসায় ২৫ হাজার কোটি টাকা বেসরকারি বিনিয়োগের আশা করছেন তিনি। কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে বলেও আশা তাঁরা।