বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৩৫ মিনিট নাগাদ ভাগলপুরের তাতারপুর থানা এলাকার কাজভালিচক এলাকার একটি বাড়ির ভিতরে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এই বিস্ফোরণে মোট তিনটি বাড়ি বিধ্বস্ত হয় এবং একজন মহিলা ও এক শিশুসহ মোট ৮ জন নিহত হন। রাত ১টা পর্যন্ত ১১ জন জখমকে ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও একাধিক জনের মৃত্যু হয়। এই বিস্ফোরণের জেরে আশেপাশের আরও কয়েকটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বোমা তৈরির সময় এই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এসএসপি বাবু রাম জানান, প্রাথমিক তদন্তে বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, রাত ১১.৩৫ মিনিটে ওই এলাকার একটি বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। এই বাড়িতে থাকতেন শীলা দেবী ও লীলা দেবী। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আশেপাশের আরও দুটি বাড়ি ভেঙে পড়ে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এ ছাড়া আরও কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে বাড়ির ধ্বংসাবশেষের টুকরোগুলো আধা কিলোমিটার দূরে উড়ে গিয়েছে। বিস্ফোরণের পর এলাকায় ভিড় জড়ো হয় এবং তল্লাশি শুরু হয়। শীলা দেবী, গণেশ কুমার এবং একটি ছয় মাস বয়সী শিশুর মৃতদেহ কিছুক্ষণ পরেই ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়। এরপর একে একে অর্ধশতাধিক দখম ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নিহত ও আহতরা সবাই তাতারপুরের কাজওয়ালি চকেরই বাসিন্দা।
এরপর দুপুর ১টার দিকে জেসিবি আনিয়ে ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ শুরু হয়। এরপর আরও বেশ কয়েকজনকে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান ডিআইজি, এসএসপি, ডিএম সহ অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। বিস্ফোরণে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তারও ভেঙে পড়ে। এই জেরে বিদ্যুত পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায় এলাকায়। অন্ধকারের কারণে উদ্ধার কাজে সমস্যা হয়।