পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম এবং তাদের প্রতিনিধিরা পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষকে কি মূর্খ ভাবে? বিজেপিকে ঠেকাতে পায়ে ব্যান্ডেজ যখন কাজ দিল না সেই সময়ে বুদ্ধদেবকে ক্লিনচিট দিয়ে বাম ভোটব্যাংকে অক্সিজেন যুগিয়ে ভোট কাটাকাটির ফায়দা তুলতে চেষ্টা করলেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী এবং তার পোষা সংবাদমাধ্যম সঙ্গে সঙ্গে ঘেউ ঘেউ করতে আরম্ভ করে দিল।
পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে সবথেকে কম শিক্ষাগত যোগ্যতার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেনএই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। দীর্ঘকালীন সংস্কৃতি দপ্তর সামলেছেন আর তার পরিণতি আপনারা আজকে চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছেন বাংলার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অধঃপতন। মাঝখানে কিছু সময় বোধহয় পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছিলেন এবং পদত্যাগ করেছিলেন অর্থাৎ আবারো হতাশাজনক পারফরম্যান্স। আর সবশেষে মুখ্যমন্ত্রী, বামপন্থীদের ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট কোনোক্রমে বাংলা অনার্স পাশ করা বুদ্ধদেবকে একেবারে বাঙালির দ্বিতীয় সত্যেন্দ্রনাথ বসু সাজিয়ে দিয়েছিল। যে ন্যানো কারখানা গুজরাটে চার দিনের মধ্যে জমি পেয়ে কাজ করতে শুরু করতে পেরেছিল তা সিঙ্গুরে তৈরি করতে গিয়ে বুদ্ধদেব কেন লেজেগোবরে হয়ে গেছিল? জানি নির্লজ্জ বামপন্থীদের সত্যতা স্বীকার করতে রুচিতে বাধে, ৭৭ এ ক্ষমতায় এসে ২০০৭ অব্দি “শিক্ষিত” বামপন্থীদের পশ্চিমবঙ্গের জমি নীতির অবস্থা এতটাই দুর্ধর্ষ ছিল যে টাটাকে ন্যানো কারখানার জন্য জমি দেওয়া সম্ভব হয়নি।
আর অশালীন কথাবার্তা তো বুদ্ধদেব একেবারেই বলেননি- মেরে মাথা গুঁড়িয়ে দেবো, রাইটার্স বিল্ডিং-এ দাঁড়িয়ে “they have been paid back in the same coin” কিংবা মরিচঝাঁপি উদ্বাস্তুশূন্য করা হয়েছে ইত্যাদি !
যমালয়ে জীবন্ত মানুষ সিনেমা তে যেমন ভানু বন্দোপাধ্যায় স্বর্গে যাওয়ার সময় ভেবেছিলেন যে উনি কিছু ভালো কাজ করবেন বুদ্ধদেব বাবু ও অনেকটা সেই রকম। সবথেকে অকর্মণ্য, সব দিক থেকে ব্যর্থ একজন সফল কমরেড। আর বেশি ভদ্র ভাষায় লিখতে পারছি না, এর থেকে বেশি কিছু লিখতে বা বলতে গেলে কাঁচা খিস্তি বেড়িয়ে আসবে।
©রুদ্র প্রসন্ন ব্যানার্জি