মাঝরাতে যাত্রীদের বেশির ভাগই ঘুমিয়ে ছিলেন। আচমকা থেমে গেল ট্রেন। একটি কামরা থেকে গলগল করে ধোঁয়া বেরোতে দেখে শুরু হল চিৎকার-চেঁচামেচি। মঙ্গলবার গভীর রাতে একটি ‘হোলি স্পেশাল ট্রেন’-এর বাতানুকুল একটি কামরায় আগুন লাগার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল যাত্রীদের মধ্যে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, দানাপুর থেকে মুম্বইগামী ওই ট্রেনটি যখন বিহারের আড়া স্টেশনের কাছাকাছি পৌঁছোয়, তখনই একটি কামরায় আগুন লাগে। তবে এই দুর্ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতিরও খবর নেই।
বুধবার সকালে রেলের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, মঙ্গলবার রাতের ওই ঘটনা সম্পর্কে। পূর্ব-মধ্য রেলওয়ের তরফে বলা হয়েছে, কোনও যাত্রী আহত হননি। বড় কোনও বিপদও ঘটেনি। সংবাদ সংস্থা এএনআই পূর্ব-মধ্য রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিককে উদ্ধৃত করে বলে, ‘‘মুম্বই এলটিটি স্পেশাল ফেয়ার এসএফ হোলি স্পেশাল ট্রেনের একটি কামরায় আচমকা আগুন ধরে যায়। ২৬ মার্চ মধ্যরাতে ঘটনাটি আড়া জংশন থেকে খানিক দূরে ঘটেছে। তবে কেউ হতাহত হননি।’’ দানাপুরের ডিআরএম জয়ন্ত চৌধরি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আগুন দেখতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করা হয়। প্রথমেই কামরা খালি করা দেওয়া হয়। তার পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আর যে কামরায় আগুন লেগেছিল, তাতে কোনও রিজ়ার্ভেশন না থাকায় বিপদ হয়নি। তবে এই দুর্ঘটনার পর চার-পাঁচটি ট্রেনকে অন্য রেলপথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।’’
শুক্রবারই গোদান এক্সপ্রেসের একটি কামরায় আগুল লাগার ঘটনা ঘটে। সেটা হয় বিহারের নাসিকের কাছে।