ইতিহাস ইস্টবেঙ্গলের, মেয়েদের আই লিগ জিতল লাল-হলুদ, ২১ বছর পর ঘরোয়া লিগ জয়

পুরুষ দল যে কাজ করে দেখাতে পারেনি, সেটাই করে দেখাল ইস্টবেঙ্গলের মহিলা দল। মহিলাদের আই লিগ জিতল তারা। শুক্রবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে ওড়িশা এফসি-কে ১-০ হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ট্রফি নিশ্চিত করল তারা। আই লিগ না পাওয়ার যে আক্ষেপ এত দিন ধরে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মধ্যে ছিল, তা ঘুচিয়ে দিলেন সৌম্যা গুগুলথ, রেস্টি নানজিরিরা। ৬৭ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোল সৌম্যার।

২১ বছর পর ঘরোয়া লিগ জিতল ইস্টবেঙ্গল। শেষ বার ২০০৩-০৪ মরসুমে আই লিগ জিতেছিল পুরুষ দল। তার পর থেকে ভারতের কোনও লিগই জিততে পারেনি লাল-হলুদ। পুরুষ দল এখন আইএসএলে। পাঁচ মরসুম খেলে ফেললেও লিগ জেতার ধারেকাছে পৌঁছতে পারেনি। প্লে-অফ খেলতে পারেনি এক বারও। সেখানে মহিলা দল তৃতীয় বার আই লিগ খেলতে নেমেই ট্রফি ঘরে তুলল। শুধু তাই নয়, এএফসি মহিলা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলাও নিশ্চিত হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গলের।

একমাত্র গোকুলম বাদে লিগের সব দলকে হারিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। আগামী ১৮ এপ্রিল খেলা সেই গোকুলমের সঙ্গেই। সে দিনই আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদের হাতে লিগ তুলে দেওয়া হবে।

আই লিগ জেতার লক্ষ্যে মরসুমের শুরু থেকেই ঝাঁপিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সেরা ফুটবলার থেকে সেরা কোচকে সই করিয়েছিল তারা। গোকুলমের মহিলা দলকে দু’বার আই লিগ জেতানো অ্যান্টনি অ্যান্ড্রুজ়‌কে কোচ করা হয়। সই করানো হয় অঞ্জু তামাং, আশালতা দেবী, সন্ধ্যা রঙ্গনাথনের মতো জাতীয় দলে নিয়মিত খেলা ফুটবলারদের। বিদেশিদের মধ্যে নানজিরি ছাড়াও এলশাদ্দাই আচেমপংকে সই করানো হয়, যিনি মহিলাদের আই লিগে ২০ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা। দলের অধিনায়ক সুইটি দেবী। বাঙালিদের মধ্যে তৃষা মল্লিক, দেবলীনা ভট্টাচার্য, তিতলি সরকার, সুলঞ্জনা রাউল নিয়মিত খেলেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.