চলতি মাসে অষ্ট্রেলিয়ার সিডনির স্বামী নারায়ণ মন্দিরে হামলার দুটি ছবি প্রকাশ করলে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ। ছবিতে দেখা গেছে অভিযুক্তরা গাড়ি করে এসে হামলা চালিয়েছিল। অন্য ছবিতে এক সন্দেহভাজনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। ভাঙ্গচুরের ঘটনার পেছনে খালিস্থান পন্থীদের হাত রয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়েছে।
স্বামীনারায়ণ মন্দিরে হামলার ঘটনার পরদিন মন্দিরে পুরোহিত এসে দেখেন ব্যাপক ভাঙ্গচুরের দৃশ্য। মন্দিরের দেওয়াল ভেঙ্গে ফেলার পাশাপাশি টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে খালিস্থানের পতাকা। এরপরই পুরো ঘটনাটি স্থানীয় থানায় জানানো হয়। মন্দির ভাঙ্গচুরের ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি করা হয়।
ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের দাবি, ৪মে গভীর রাতে স্থানীয় সময় প্রায় একটা থেকে দুটোর মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। ঘটনার পর দিন অর্থাৎ শুক্রবার তদন্তকারী দলটি স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজে মন্দির সংলগ্ন এলাকায় একটি গাড়ির উপস্থিতি ধরা পড়ে। মনে করা হচ্ছে, ওই গাড়ির যাত্রীরা ভাঙ্গচুরের ঘটনায় প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে পারে। সন্দেহজনক গাড়িটিকে সনাক্ত ও গতিবিধি নিয়ে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। এছাড়াও পুলিশ এক ব্যক্তির ছবি প্রকাশ্যে এনেছে। ছবির ব্যক্তি ঘটনার সময় মন্দিরের আশপাশে ঘোরাঘুরি করছিল বলে সন্দেহ। প্রকাশিত ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে সন্দেহভাজন ব্যক্তিটি মুখোশ পড়েছিল। মাথায় পনিটেল ছিল। তবে গাড়ির সঙ্গে ওই ব্যক্তির কোনো সম্পর্ক আছে কি না তা এখনো নিশ্চিত নয় তদন্তকারীরা।
মন্দিরে হামলায় অভিযুক্তদের খোঁজে জোর তল্লাশি শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ। হামলার বিষয়ে তথ্য যোগাড়ে এই সাধারণ মানুষের কাছেও আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। এই ব্যাপারে কারোর কাছে কোনো তথ্য থাকলে থানায় যোগাযোগ করার আবেদন জানানো হয়েছে। তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে বলেও পুলিশের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।যোগাযোগের জন্য একটি টোল ফ্রি নম্বরেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে একটি ই-মেইল আইডিও।
অস্ট্রেলিয়ায় হিন্দু মন্দিরের হামলার ঘটনায় প্রথম নয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে মেলবোর্ন ও ব্রিসবেনের স্বামীনারায়ণ মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। প্রতিটি ঘটনায় খাদিস্তানপন্থী সংগঠনের হাত রয়েছে বলে পুলিশের সন্দেহ। আগামী ২৪ মে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে কোয়াড সম্মেলনের যোগ দেবার কথা নরেন্দ্র মোদীর। তার আগে সেখানে নতুন করে স্বামীনারায়ণ মন্দিরে খালিস্থানিদের হামলার ঘটনায় উদ্বেগ তৈরি হলো।