বাংলাদেশের খুলনার হিন্দু যুবক উৎসব মণ্ডলকে থানার মধ্যে প্রচন্ড মারধর করেছে জামাত ইসলামের জঙ্গিরা। এই ঘটনায় ওই হিন্দু যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
উৎসবের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসলাম ধর্মের প্রচারক সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগ এনেছিলেন জামাতপন্থীরা। যদিও বাংলাদেশের হিন্দুদের দাবি, এই যুবক ইসলাম ধর্ম বা নবি সম্পর্কে কোনো রকম অবমাননাকর মন্তব্য করেনি। এক মুসলমান ব্যক্তি হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিল তার জবাব দিয়েছিল উৎসব। এরপরই এই যুবকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়।
কিন্তু বাংলাদেশের মৌলবাদীরা যে কথা মানতে নারাজ। তাদের দাবি, নবীর অপমান অবমাননা করেছে উৎসব। এই কারণেই তাকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে।বাংলাদেশের পুলিশ সেনাবাহিনী কর্মীদের সামনে উৎসবকে মারধর করা হয়। অথচ জঙ্গিদের কোনরকম বাধা দেয়নি পুলিশ বা সেনা বাহিনী।
এরমধ্যে আবার ঘটনার পর নানারকম বিভ্রান্তিকর কথা শোনা যাচ্ছে। প্রথমে পুলিশ বলেছিল উৎসবের বয়স ১৫ বছর। পরে সেনাবাহিনী পক্ষ থেকে জানানো হয় যুবকের বয়স ২২ বছর। যুবকের মৃত্যু হয়েছে কিনা বা তিনি বেঁচে আছেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে মতভেদ। প্রথমে বলা হয়েছিল উৎসবের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু পরে আবার সেনাবাহিনী জানায় যুবক বেঁচে আছেন, কিন্তু বেঁচে থাকলে তিনি কি অবস্থায় আছেন তা খোলসা করা হয়নি। থানার মধ্যে কিছু মানুষ ঢুকে কিভাবে বিনা বাধায় এই যুবককে মারধর করল তা নিয়ে মুখ খোলেনি পুলিশ কিংবা সেনা বাহিনীকে। উৎসবের বিরুদ্ধে বহু মানুষকে ক্ষেপিয়ে তোলার মূলে ছিল জামাত জঙ্গি আহসানুল ওসামা বলে অনেকের দাবি। কারণ এই ঘটনায় নিজেকে গর্বিত বলে জানিয়েছে সে। উৎসবের রক্তমাখা পোশাক নিয়ে উল্লাসও প্রকাশ করেছেন তিনি।
এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেছেন লেখিকা তাসলিমা নাসরিন। তাঁর দাবি, উৎসবকে খুন করা হয়েছে। জামাত জঙ্গিদের দাবি, তারাই যুবককে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।