পাকিস্তানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের উপর অত্যাচার এখনও অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে এক হিন্দু চিকিৎসককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্লিনিক থেকে বাড়ি ফেরার সময় করাচির লিয়ারির কাছে হিন্দু চিকিৎসক বীরবল জেনানিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। জিও নিউজও হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং বলেছে যে করাচি মেট্রোপলিটন কর্পোরেশনের (কেএমসি) প্রাক্তন স্বাস্থ্য ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বীরবল জেনানিকে করাচিতে অজ্ঞাত হামলাকারীরা গুলি করে হত্যা করেছে।
পুলিস জানায়, বীরবল জেনানি ও তার সহকারী মহিলা ডাক্তার রামস্বামী নামের একটি জায়গা থেকে গুলশান-এ-ইকবালের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। লিয়ারি এক্সপ্রেসওয়ের গার্ডেন ইন্টারচেঞ্জের কাছে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই অজ্ঞাত আততায়ীরা তাঁর গাড়িতে গুলি চালায়। এই সময় ডাক্তার জেনানি ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং তার মহিলা সহকারী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।
জানা গিয়েছে, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিস ও উদ্ধারকারীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তারা চিকিৎসকের মৃতদেহ ও আহত সহকারিকে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে ডাক্তার জেনানির গাড়িটিকে নিয়ন্ত্রিণ হারিয়ে দেওয়ালে ধাক্কা খেতে দেখা যায়।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এসএসপি সিটি আরিফ আজিজ, ডাক্তার জিনানী হত্যাকাণ্ডকে ‘টার্গেট কিলিং’ বলে অভিহিত করেন। আজিজ আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। তিনি বলেন, হামলার সময় জিনানির সঙ্গে কাজ করা মহিলা চিকিৎসকও গাড়িতে ছিলেন। আহত ওই মহিলা বলেন, ‘হঠাৎ গুলি শুরু হয় কিছুই বোঝা যাচ্ছিল না।’
পুলিস কর্মকর্তা জানান, তারা ওই মহিলা চিকিৎসকের বক্তব্য রেকর্ড করছেন এবং হত্যার তদন্ত শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, সিন্ধুর গভর্নর কামরান খান তেসোরি এই ঘটনার বিষয়ে করাচি পুলিসের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞকে হত্যার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন।