পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়া বেশ কিছু বছর ধরেই বেশ ট্রেন্ডিং। তবে সাম্প্রতিক বছরে পাহাড়ে ট্রেকিংও বেশ ট্রেন্ডে রয়েছে। নেপালের হিমালয় সব সময় পর্বত আরোহীদের এক পছন্দের জায়গা। জীবনে একবার হলেও তাঁরা এই বিশাল পর্বত আহরণের চেষ্টা করেন।
অনেকে এ অভিযানে সফল হলেও অধিকাংশ ব্যর্থ হন। অনেক তরুণ-তরুনী এই অভিযানে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। যাঁরা মারা যান তাঁদের লাশ পর্বতের বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকে। আবার অনেকের লাশ খুঁজেও পাওয়া যায় না। বিভিন্ন কারণে দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়ে গেছে। সেই কারণেই নেপাল সরকার পর্বত আরোহীদের সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছে।
জানা যায়, হিমালয় পর্বতশৃঙ্গ থেকে ৫টি কঙ্কালসহ ১১ টন বর্জ্য অপসারণের কথা জানিয়েছে নেপালের সেনাবাহিনী। এভারেস্ট, নুপুৎসে ও লোৎসে পর্বত থেকে এসব সরাতে সেনাদের সময় লেগেছে ৫৫ দিন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়, শুধু এভারেস্টেই ৫০ টন বর্জ্য এবং দুই শতাধিক লাশ পড়ে আছে বলে ধারণা।
এই বছর সেখানকার কর্তৃপক্ষ বর্জ্য কমানোর লক্ষ্য নিয়েছে। তার অংশ হিসেবে পর্বতারোহীদের মল নিজেদেরই ফিরিয়ে আনতে হবে। আর জরুরি পরিস্থিতিতে সহজেই যাতে পর্বতারোহীদের উদ্ধার করা যায়, সেজন্য পর্বতারোহীদের ট্র্যাকিং ডিভাইস পরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নেপালের পর্যটন অধিদফতরের পর্বতারোহণ বিভাগের পরিচালক রাকেশ গুরুং বিবিসিকে বলেন, ভবিষ্যতে সরকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় একটি মাউন্টেইন রেঞ্জার দল গঠন করতে চায় এবং বর্জ্য সংগ্রহের জন্য আরও অর্থ বরাদ্দের ভাবনা আছে।