পৌষমেলার জন্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মাঠ দিতে নারাজ। এই আবহে মাঠ না দেওয়ার কারণ জানতে চেয়ে বিশ্বভারতীর কাছে জবাব চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। কর্তৃপক্ষকে এই সংক্রান্ত একটি হলফনামা পেশ করতে বলা হয়েছে উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে। হলফনামা পেশ করার জন্য সাত দিনের সময় দেওয়া হয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে। গুরুমুখ জেঠওয়ানি নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার আবেদনের প্রেক্ষিতেই এই মামলার শুননি হয়। আগামী ৬ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
বিশ্বভারতী মঙ্গলবার হাই কোর্টে জানায়, বিগত বছরগুলিতে শর্তসাপেক্ষে মেলার অনুমতি দিত পরিবেশ আদালত। তবে অভিযোগ, অনেকেই সেই শর্ত মেনে চলতেন না। এর জেরে পরিবেশ আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় বিশ্ববিদ্যালয়কে। এদিকে এই বিষয়ে শ্রীনিকেতন-শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদের বক্তব্য, এই মেলার ওপর নির্ভর করে রয়েছে জেলার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিষয়টি। তবে বিশ্বভারতীর আপত্তি থাকলে মেলা করা নিয়ে সংশয় থাকবে। পর্ষদের আইনজীবী জয়দীপ কর বলেন, ‘আদালতই সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিক এই বিষয়ে।’
এর আগে ২০১৯ সালে শেষ বার শান্তিনিকেতন পৌষমেলা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে কোভিডের জেরে মেলার অনুমোদন দেননি বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তবে এবছর কোভিড বাড়বাড়ন্ত নেই। এই আবহে শান্তিনিকেতনে পূর্বপল্লির মেলার মাঠেই পৌষমেলা অনুষ্ঠিত করার দাবি ওঠে। শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের তরফেও পৌষমেলা করার জন্য চিঠি দেওয়া হয় বিশ্বভারতীকে। তবে অনুমোদন না পেয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের দফতরের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ‘শান্তিনিকেতন পৌষমেলা বাঁচাও কমিটি’।