নিজের জীবনের ১০০তম বর্ষে প্রবেশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মা হীরাবেব। নিজের মায়ের জন্মদিনে মোদী পৌঁছে যান তাঁর কাছে। আজকে ভোরে তিনি দেখা করেন মায়ের সঙ্গে। হিরাবেন বর্তমানে নরেন্দ্র মোদীর ছোট ভাই পঙ্কজ মোদীর সঙ্গে রায়সন গ্রামে থাকেন। গান্ধীনগর পুরনিমগের অন্তর্গত এই এলাকা। প্রধানমন্ত্রী মোদী একটি ব্লগ পোস্ট টুইট করেছেন আজ। সেখানে তিনি তাঁর মায়ের ১০০তম জন্মদিন উপলক্ষে আনন্দ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তাঁর চিন্তাভাবনা তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী আরও লেখেন, তাঁর বাবা জীবিত থাকলে ২০২২ সালেই শতবর্ষে পা দিতেন।
এদিন মোদী লেখেন, ‘গত সপ্তাহে আমার ভাগ্নে গান্ধীনগর থেকে মায়ের কয়েকটি ভিডিও শেয়ার করেছে। কয়েকজন যুবক বাড়িতে এসেছিল। সেখানে আমার বাবার ছবি একটি চেয়ারে রাখা হয়েছিল। কীর্তন হচ্ছিল এবং মা মঞ্জিরা বাজানোর সময় ভজনে মগ্ন ছিলেন। তিনি এখনও একই – বয়সের কারণে শারীরিকভাবে কিছুটা ঝুঁকে পড়লেও তিনি আগের মতোই মানসিকভাবে সজাগ।’
এদিন সকাল সকাল গান্ধিনগরের বাড়িতে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। মায়ের সঙ্গে পুজো সারলেন, তাঁর পা ধুয়ে সেই জল নিজের চোখে ছোঁয়ালেন৷ মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী৷ এদিকে এর আগে বুধবার মোদীর মায়ের নামে গান্ধীনগরের একটি রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর মায়ের দীর্ঘায়ু ও স্বাস্থ্য কামনা করে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ভাদনগরের হাটকেশ্বর মহাদেব মন্দিরে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাট গৌরব অভিযানের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আজ ভাদোদরায় যাবেন। সেখানে কুষ্ঠ গ্রাউন্ডে নির্ধারিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। তিনি ভারতীয় রেলওয়ের ১৬,৩৬৯ কোটি টাকার ১৮টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং উদ্বোধন করবেন সেখানে। প্রধানমন্ত্রী সেখানে ১০,৮৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাঁচটি রেল প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। তাছাড়া ৫৬২০ কোটি টাকা খরচ করে ১৩টি বিভিন্ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী ভারতীয় গতি শক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করবেন এদিন।