সাইক্লোন বোমার ক্ষত সারিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার ভয়ানক তুষারঝড়ের কবলে আমেরিকার ক্যালিফর্নিয়া। গত কয়েক দিন ধরেই তুষারঝড় আর তার সঙ্গে পাল্লা বৃষ্টিতে নাজেহাল অবস্থা আমেরিকার এই অঞ্চলের। ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস-এর দাবি, দক্ষিণ-পশ্চিম ক্যালিফর্নিয়ায় এমন শক্তিশালী তুষারঝড় আগে কখনও দেখা যায়নি। বৃষ্টির পরিমাণ কমলেও ঝড়ের দাপট বজায় রয়েছে গত কয়েক দিন ধরেই।
ন্যাশনাল ওয়াদার সার্ভিস আরও জানিয়েছে যে, এই তুষারঝড়ের প্রভাব পড়বে পশ্চিম উপকূলে। রবিবার থেকে তুষারপাতের পরিমাণ বাড়বে ক্যাসকেডস, এবং সিয়েরা নেভাদার উপকূলীয় এলাকায়। শুধু ক্যালিফর্নিয়াই নয়, লস অ্যাঞ্জেলসেও তুষারঝড়ের দাপট চলছে। লস অ্যাঞ্জেলসের উত্তর অংশে সান্টা ক্ল্যারিটায় প্রবল তুষারপাত হচ্ছে। ওয়েস্টার্ন রিজিওনাল ক্লাইমেট সেন্টার-এর গবেষক ড্যান ম্যাকিভয় বলেছেন, “দক্ষিণ ক্যালিফর্নিয়ায় এ রকম ভয়ানক তুষারপাত আগে কখনও দেখিনি।”
ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস জানিয়েছে, রবিবার থেকে ঝড়ের দাপট বাড়বে। ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে স্যাক্রাম্যান্টো উপত্যকার উপর গিয়ে বয়ে যাবে। ফলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঝড়ের সঙ্গে ভারী বৃষ্টির ফলে ক্যালিফর্নিয়ার বহু জায়গায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ঝড়ের দাপটে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ফলে লক্ষাধিক পরিবারকে এখন বিদ্যুৎহীন অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে।
উত্তর ক্যালিফর্নিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড পরিমাণ নেমে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া দফতর। বাসিন্দাদের ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রবিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত বৃষ্টি এবং তুষারঝড়ের দাপট বজায় থাকবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
বছরের শুরুতেই ‘বম্ব সাইক্লোন’ আছড়ে পড়েছিল আমেরিকায়। তুষারঝড়ের দাপটে আমেরিকার নানা প্রান্তে তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল হিমাঙ্কের ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রি নীচে। সেই তুষারঝড়ের দাপটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল ফ্লরিডা, জর্জিয়া, দক্ষিণ ক্যারোলিনা, নিয় ইয়র্ক এবং ক্যালিফর্নিয়া-সহ আমেরিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল।