প্রয়াত জিম্বাবোয়ের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং ফাস্ট বোলার হিথ স্ট্রিক। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৯। দীর্ঘদিন ধরেই ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছিলেন তিনি। জিম্বাবোয়ের হয়ে ১৮৯ টি ওয়ান ডে এবং ৬৫টি টেস্টে তিনি প্রতিনিধিত্ব করে ৪৯৩৩ রান এবং ৪৫৫ টি উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। ২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি জিম্বাবোয়ে, বাংলাদেশ এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
শরীরে ক্যানসার বাসা বেঁধেছিল তাঁর। গত মে মাস থেকেই গুরুতর অসুস্থ ছিলেন স্ট্রিক। দক্ষিণ আফ্রিকার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে। তখনই চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছিলেন, স্ট্রিকের বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম। মঙ্গলবার তিনি মারা যান। কোলন ও যকৃতের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। হিথ একজন বোলিং অলরাউন্ডার। নিজের সময়কালে তিনি অন্যতম প্রধান ভরসা ছিলেন জিম্বাবোয়ে দলের। জাতীয় দলের হয়ে অধিনায়কত্বের দায়িত্বও সামলিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসতে জিম্বাবোয়ে ক্রিকেট মহলে শোকের ছায়া নেমেছে।
১৯৯০-২০০০ সালের শুরুর দিক পর্যন্ত হিথ ছিলেন জিম্বাবোয়ে ক্রিকেটের বিরাট চরিত্র। সেই সময় জিম্বাবোয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাদের দাপট দেখিয়েছে। হিথ দেশের হয়ে ৬৫টি টেস্ট (১৯৯০ রান ও ২১৬টি উইকেট) ও ১৯৮টি ওয়ানডে (২৯৪৩ রান ও ২৩৯ উইকেট) খেলেছেন। জিম্বাবোয়ে ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে বিবাদের জন্য ২০০৪ সালে অধিনায়কের পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন হিথ। ২০০৫ সালে মাত্র ৩১ বছর বয়সেই দেশের জার্সি তুলে রেখেছিলেন। হিথ একমাত্র জিম্বাবোয়ের বোলার, যাঁর ঝুলিতে ১০০-র ওপর টেস্ট উইকেট ও ২০০-র ওপর ওয়ানডে উইকেট আছে।
বোর্ডের সঙ্গে ঝামেলার জন্য ২০০০ সালে বহু ক্রিকেটার জাতীয় দল থেকে নিজেদের সরিয়ে নেন। সেই সময়ে হিথ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ২০২১ সালে আট বছরের জন্য হিথ ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হয়েছিলেন। আইসিসি-র অ্যান্টি করাপশান কোড ভেঙেছিলেন পাঁচবার। বিটকয়েনের মাধ্যমে সম্ভাব্য দুর্নীতিবাজের থেকে পেমেন্ট নিয়েছিলেন। হিথ স্বীকার করেন যে, তিনি দলের ভিতরের খবর ফাঁস করেছিলেন। পাশাপাশি হিথ এও বলেন যে, তিনি কোনও ভাবেই ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত ছিলেন না। হিথ ক্রিকেট ছাড়ার পর বাংলাদেশ, কলকাতা নাইট রাইডার্স ও সমারসেটের বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। জাতীয় দলের হয়েও একাধিক ভূমিকায় পাওয়া গিয়েছে তাঁকে।