খেলার মাঠে মৃত্যু হল আরও এক ক্রিকেটারের। শনিবার আমদাবাদে একটি ম্যাচ খেলার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বসন্ত রাঠৌরের। ৩৪ বছরের ক্রিকেটার বল করার সময় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন। হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। এই নিয়ে ১০ দিন তিন জন ক্রিকেটারের মৃত্যু হল গুজরাতে।
গুজরাতের পণ্য পরিষেবা কর (জিএসটি) দফতরের কর্মী বসন্তের ক্রিকেটই ছিল প্রাণ। সেই ক্রিকেট খেলতে খেলতেই ঢলে পড়লেন মৃত্যুর কোলে। আমদাবাদের কাছে একটি ডেন্টাল কলেজের মাঠে স্থানীয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতার একটি ম্যাচ খেলছিলেন বসন্ত। তিনি ছিলেন অলরাউন্ডার। বল করার সময় প্রথমে অস্বস্তি অনুভব করেন বসন্ত। বুকে ব্যথা শুরু হয়। সতীর্থ এবং আয়োজকরা প্রথমে তাঁকে ডেন্টাল কলেজে নিয়ে যান। বসন্তের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা দ্রুত কমতে থাকায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় সোলা সিভিল হাসপাতালে। চিকিৎসা শুরু হলেও বাঁচানো যায়নি বসন্তকে। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় বসন্তের। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তীব্র হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। বস্ত্রপুরের বাসিন্দা বসন্তের স্ত্রী রয়েছেন।
বসন্ত আগে থেকে অসুস্থ ছিলেন না বলে জানিয়েছেন তাঁর সতীর্থরা। গুজরাতের পণ্য পরিষেবা কর দফতরের এক আধিকারিক বলেছেন, ‘‘আমাদের দল ফিল্ডিং করছিল। বসন্ত বেশ চনমনে ছিল প্রথম থেকেই। হঠাৎই বুকে ব্যথা অনুভব করে এবং মৃত্যু হয়। ওর সতীর্থরা চেষ্টা করেও কিছু করতে পারেননি।’’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, গত ১০ দিনে এই নিয়ে খেলতে খেলতে মৃত্যু হল তিন জন ক্রিকেটারের। প্রথম দুই ক্রিকেটার হলেন রাজকোটের বাসিন্দা প্রশান্ত ভারোলিয়া (২৭) এবং সুরাতের বাসিন্দা জিগ্নেশ চৌহান (৩১)। সকলেরই মৃত্যু হয়েছে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে। পর পর এমন ঘটনায় গুজরাতের ক্রিকেট মহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।