ভুয়ো ওষুধের কারবার চলছে রমরমিয়ে। এ বার তার পর্দাফাঁস করতে কোমরবেঁধে আসরে নামল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সূত্রের খবর, মন্ত্রকের ছ’টি দল ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় নিরীক্ষণ (অডিট) এবং তল্লাশির কাজ করবে। এই কাজে কেন্দ্রীয় দলকে প্রত্যক্ষ ভাবে সহায়তা করবে রাজ্য সরকারগুলো। গোটা বিষয়টির উপর নজরদারি চালাবে ‘সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন’ (সিডিএসসিও)-এর দুই যুগ্ম ড্রাগ কন্ট্রোলারের নেতৃত্বে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি।
সম্প্রতি গাম্বিয়াতে ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারকের ওষুধ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে শিশুদের। তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। তার পরেই ন়ড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়র তত্ত্বাবধানে এই পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে।
এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলোয় আচমকা অভিযান চালানো হবে। দেখা হবে, ওই সংস্থা গুনমান বজায় রেখে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট ওষুধ তৈরি করতে পারছে কি না। ইতিমধ্যেই এই দল অভিযান শুরুও করে দিয়েছে। সূত্রের খবর, দেশের ওষুধ উৎপাদনের মূল কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত হিমাচল প্রদেশে ১২টিরও বেশি ওষুধ কারখানায় অভিযান চলেছে।
হিমাচলের ড্রাগ কন্ট্রোলার নভনীত মারওয়াহ্ বলেন, ‘‘উৎপাদনের পদ্ধতি মেনে না চলায় রাজ্যের একাধিক ওষুধ কারখানার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিস জারি করা হয়েছে। একটি কারখানার উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’’ কোন সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযান চলেছে তা জানাননি নভনীত। তবে তিনি জানিয়েছেন সবক’টি সংস্থাই ছোট বা মাঝারি আকারের। যদিও অন্য একটি সূত্র থেকে খবর পাওয়া যাচ্ছে, হিমাচলের ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ‘সোলান’-য়ে অভিযান চালানো হয়েছিল।
শুধু দেশের মধ্যেই নয়, ভারতে তৈরি ওষুধ বিদেশেও রফতানি হয়। তাই গুনমান সম্পর্কে সতর্ক থাকতেই হয়। এরই মাঝে বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে নানা সময় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধ ডজন দল সেই অনিয়মের অভিযোগই খতিয়ে দেখছে মাঠে নেমে। আগামী দিনেও এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানা গিয়েছে।