মামলা চলছিল হরিয়ানা পুলিশ হাউসিং কর্পোরেশনের এক কর্মীকে এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার পদে উন্নিত করা নিয়ে। ওই কর্মী ডিসট্যান্স কোর্সে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন বলে জানানো হয় কোর্টকে। তাঁর বিষয় ছিল সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং। সেই মামলা প্রসঙ্গেই হরিয়ানা ও পঞ্জাব হাইকোর্ট জানিয়েছে, ‘যে ব্যক্তি শারীরিকভাবে ক্লাসেই উপস্থিতি ছিলেন না, যিনি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্র্যাক্টিক্যাল ট্রেনিং করেননি তাঁকে ইঞ্জিনিয়ার বলা যাবে না।’
বিচারপতি অনুপিন্দর সিং গ্রেওয়াল বলেন, ‘কোনও ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি কোর্স ডিসট্যান্স মাধ্যমে হবে এটা গ্রহণ করাটা কঠিন।’ একইসঙ্গে বিচারপতি বলেন, ‘এমন ডিগ্রিকে যদি মেনে নেওয়া হয়, তাহলে সেই দিন দূরে নেই যেদিন ডিসট্যান্স কোর্সে এমবিবিএস পড়ানো হবে। যার ফলাফল ভয়ানক হবে।’ উল্লেখ্য, নরেশ কুমার নামে এক ব্যক্তির দায়ের করা পিটিশনের প্রেক্ষিতে মামলার শুনানি চলছিল। তাঁর প্রশ্ন ছিল হরিয়ানা পুলিশ হাউসিং কর্পোরেশনের এক কর্মী বিনোদ রাওয়ালের প্রমোশন নিয়ে। বিনোদ রাওয়াল ডিসট্যান্সে সিভিল ইঞ্জনিয়ারিং পাশ করেছেন। আর তাঁকে কেন এক্সিকিউটিভ পোস্টে প্রমোশন দেওয়া হয়েছে সেই সওয়াল করে মামলা দায়ের হয়। সিভিল সার্ভিসেস-এ বিভিন্ন ‘ছাড়’ সংক্রান্ত ইস্যুতে অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র
নরেশ তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতের দ্বারস্থ হন। তাঁর দাবি, আইনত ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যদি কেউ ডিসট্যান্সে কোর্স করে থাকেন তাহলে প্রমোশনের ক্ষেত্রে তাঁর নাম আগে গ্রহণযোগ্যতাতেই আসতে পারে না। ফলে এই প্রমোশন হরিয়ানা সার্ভিস অফ ইঞ্জিনিয়ার্স গ্রুপ এ পাবলিক ওয়ার্কস ডিপারটমেন্ট অ্যাক্ট ২০১০ এর বিধি অনুযায়ী এটি বেআইনি। সেই নিরিখেই দায়ের করা হয় মামলা। যাঁকে নিয়ে এই মামলা সেই বিনোদ রাওয়াল ইউজিসি অনুমোদিত জেআরএন রাজস্থান বিদ্যাপিঠ বিশ্বিবিদ্যালয় থেকে ডিসট্যান্স কোর্সে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন।