বিধাননগরের গোয়েন্দা প্রধান স্পষ্ট বলছেন, সত্যেন্দ্র চৌধুরি ধরা পড়লে, তবে সামনে আসবে আসল ঘটনা। এ দিন জোড়া খুনের ঘটনা সামনে আসার পরে ক্ষোভে সত্যেন্দ্রর বাড়িতে চড়াও হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। পুলিশের খাতায় সে অন্যতম মূল অভিযুক্ত। কিন্তু কেন সে এমন সন্দেহের তিরের মুখে, তার ইঙ্গিত অতনুর বাবা বিশ্বনাথ দে-র কথাতেই।
বিশ্বনাথ জানান, সত্যেন্দ্র আদতে বিহারের বাসিন্দা। জগৎপুরে স্থানীয় এক জনকে বিয়ে করার সুবাদে এলাকায় জামাই নামে পরিচিত। সে গাড়ি সারাইয়ের কাজ করে এবং গাড়ি কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত বলেও পরিচিত। অতনুদের বন্ধু সায়ন নামে এক কিশোরের দাবি, সত্যেন্দ্র এক বার তাকে ও তার এক বন্ধুকে রাজারহাটের দিকে নিয়ে গিয়েছিল। সে বার গাড়ি সারাই করতে যাওয়ার সময়ে গল্প করার নাম করে তাদের গাড়িতে তোলা হয়েছিল বলে সায়ন দাবি করে। তার বক্তব্য, এক সময়ে রাজারহাটে তাদের উল্টোপাল্টা ঘোরানো হচ্ছিল। সায়নের কথায়, ‘‘আমরা গাড়িতে বসে চেঁচামেচি শুরু করে দিই। গাড়িতে আরও পাঁচ জন ছিল। যে কোনও হোক আমাদের ফিরিয়ে আনে সত্যেন্দ্র।’’ সেই প্রসঙ্গ টেনে বিশ্বনাথ বলেন, ‘‘ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে সত্যেন্দ্ররও হদিস ছিল না। সায়নের ঘটনা জেনেই আমি সন্দেহ করে সত্যেন্দ্রকে ফোন করি। সত্যেন্দ্র নিজে থেকেই জানায় যে, আমার ছেলেকে অপহরণ করা হয়নি। এর পরেই আমার সন্দেহ আরও নিশ্চিত হয় যে, সত্যেন্দ্র এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত।’’