নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওই মামলায় আর এক অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়েছেন বলে আদালতে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেই টাকার পরিমাণ ছিল ৭০ লক্ষ। একটি কাজের জন্য তিনি সুজয়কৃষ্ণকে টাকা দিয়েছিলেন বলে নিজের ঘনিষ্ঠমহলে দাবি করেছেন কুন্তল। তবে একই সঙ্গে তিনি ওই মহলকে জানিয়েছেন, সুজয়কৃষ্ণ পরে ওই টাকা তাঁকে ফেরত দিয়ে দিয়েছিলেন। ইডিকে এই বিষয়টি তিনি জানিয়েছেন বলেও ঘনিষ্ঠমহলের কাছে দাবি করেন তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তল।
আদালতে ইডির তরফে দাবি করা হয়, গত ১ ফেব্রুয়ারি এবং ২ ফেব্রুয়ারি আর্থিক তছরুপ নিয়ন্ত্রক আইনের ৫০ নম্বর ধারা অনুসারে কুন্তলের যে বয়ান নথিবদ্ধ করা হয়, তাতে তিনি জানান, ২০১৪ সালের টেট প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনার জন্য তিনি ‘কালীঘাটের কাকু’র সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কয়েক জন চাকরিপ্রার্থীকে বেআইনি ভাবে টেট পাশ করিয়ে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করাতে চেয়েছিলেন কুন্তল। সুজয় তখন কুন্তলকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, পার্থের সঙ্গে কথা বললেই তাঁর কাজ হয়ে যাবে। এই সময়ে কুন্তল ৭০ লক্ষ টাকা দেন সুজয়কে। সুজয়ের কথাতেই তিনি পার্থকে দেন আরও ১০ লক্ষ টাকা। যদিও ইডি জানিয়েছে, ৩০ মে ‘কালীঘাটের কাকু’ তাদের প্রশ্নের মুখে এই লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
শুক্রবার কুন্তলের দাবি, তাঁর মিথ্যা বয়ান আদালতে পেশ করছে ইডি। ‘কালীঘাটের কাকু’কে তিনি কোনও টাকা দিয়েছেন কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে কুন্তলের সংক্ষিপ্ত জবাব ‘না’। এই প্রসঙ্গেই তাঁর মন্তব্য, “কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকতেই পারে।”