ব্রাইটনকে ৪-২ গোলে হারাল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। একই সঙ্গে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকায় প্রথম চারের মধ্যে চলে এল রুবেন আমোরির দল। গত সপ্তাহে অ্যানফিল্ডে লিভারপুলের বিরুদ্ধে জয়ের থেকেও ব্রাইটনের বিরুদ্ধে জয়কে এগিয়ে রেখেছেন ম্যান ইউ ম্যানেজার। এই নিয়ে টানা তিনটি ম্যাচ জিতল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড।
শনিবার ব্রাইটনের বিপক্ষে শুরু থেকেই আগ্রাসী ফুটবল খেলে ম্যাঞ্চেস্টার। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের এই ম্যাচে ২৪ মিনিটে গোল করে ম্যান ইউকে এগিয়ে দেন ম্যাথেউস কুনহা। ঠিক ১০ মিনিট পর ম্যাচের ৩৪ মিনিটে ম্যাঞ্চেস্টারের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন ক্যাসেমিরো। ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে ম্যাঞ্চেস্টার। দ্বিতীয়ার্ধেও আগ্রাসী ফুটবল থেকে সরে আসেনি আমোরির দল। ৬১ মিনিটে দলের পক্ষে তৃতীয় গোল ব্রায়ান এমবিউমোর। ০-৩ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পর গোল শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন ব্রাইটনের ফুটবলারেরা। ৭৪ মিনিটে ব্যবধান কমান ড্যানি ওয়েলব্যাক। সংযুক্ত সময়ের শুরুতে ব্রাইটনের হয়ে দ্বিতীয় গোল করে লড়াই জমিয়ে দেন চারালাম্পোস কোস্তোলাস। শেষ কয়েক মিনিট আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে জমে ওঠে খেলা। ম্যাচ ড্র করার জন্য আরও মরিয়া হয়ে ওঠেন ব্রাইটনের ফুটবলারেরা। তবে লাভ হয়নি। ম্যাচের প্রায় শেষ মুহূর্তে ম্যাঞ্চেস্টারের হয়ে চতুর্থ গোল করে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করেন এমবিউমো।
শনিবার জয়ের ফলে পয়েন্ট তালিকায় চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। ৯ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ১৬ পয়েন্ট। ৮ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্সেনাল। ৯ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে সাদারল্যান্ড। ৮ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। অর্থাৎ, শনিবার জয়ের সুবাদে আর এক ম্যাঞ্চেস্টারকে পয়েন্টের নিরিখে ধরে ফেলল ম্যান ইউ।
২০১৬ সালের পর গত সপ্তাহে প্রথম বার লিভারপুলের ঘরের মাঠে জয় পেয়েছে ম্যান ইউ। সেই জয়ের থেকেও ব্রাইটনের বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট পাওয়াকে এগিয়ে রেখেছেন আমোরিম। ম্যাচের পর ফুটবলারদের প্রশংসা শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। তিনি বলেছেন, ‘‘মাঠে কখন কী করতে হবে, তা সব ফুটবলারেরা দারুণ ভাবে বুঝে গিয়েছে। হ্যাঁ, শেষ দিকে আমরা একটু চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। তবে কষ্ট ছাড়া জয় অসম্পূর্ণ মনে হয়। আমার মতে, লিভারপুল ম্যাচের থেকেও ব্রাইটনের বিরুদ্ধে আমরা অনেক ভাল খেলেছি। এই ম্যাচটার পর নিজেকে পরিপূর্ণ ম্যানেজার মনে হচ্ছে।’’

