অলিম্পিক্সে ইতিহাস গড়ার সুযোগ রয়েছে পিভি সিন্ধুর সামনে। তিন নম্বর পদক জিতলে প্রথম ভারতীয় হিসাবে এই কীর্তি করবেন তিনি। তার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন সিন্ধু। কোর্টে নামতে তৈরি তিনি। চলতি বছর ভাল খেলতে না পারলেও অলিম্পিক্সে এক অন্য সিন্ধুকে দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
২০১৬ সালের রিয়ো অলিম্পিক্সে রুপো ও ২০২০ সালের টোকিয়ো অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জিতেছেন সিন্ধু। এখনও পর্যন্ত কোনও ভারতীয় অলিম্পিক্সে তিনটি ব্যক্তিগত পদক জিততে পারেননি। সেই সুযোগ রয়েছে সিন্ধুর সামনে। সেই লক্ষ্যেই নামবেন তিনি। পোর্তে ডে লা চ্যাপেল এরিনায় অনুশীলনের পরে সিন্ধু বলেন, “আমি পদকের লক্ষ্যেই নামছি। শুধু আমি কেন, যারা অলিম্পিক্সে নামে, সকলেই পদক জিততে চায়। আমি ভারতের হয়ে দুটো পদক জিতেছি। তিন নম্বর হলে রেকর্ড হবে। কিন্তু তাই বলে অতিরিক্ত চাপ নিতে চাইছি না। মাথা থেকে রেকর্ডের ভাবনা বাদ দিয়েছি।”
প্রতি বার অলিম্পিক্সে নতুন উদ্যম নিয়ে খেলতে নামেন বলে জানিয়েছেন সিন্ধু। তাঁর কথায়, “যত বার অলিম্পিক্সে নামি, প্রত্যেক বার মনে হয় প্রথম বার নামছি। তাই প্রতি বার পদক জিততে চাই। আশা করছি এ বারই হ্যাটট্রিক করে ফেলব।”
খারাপ সময় কাটিয়ে ফেরার জন্য সে ভাবে প্রশিক্ষণও নিয়েছেন সিন্ধু। অলিম্পিক্সের আগে জার্মানিতে অনুশীলন করেছেন। সেখানে নিজের ঘরে একটি হাইপোক্সিক চেম্বার তৈরি করেছিলেন তিনি। সেখানে অক্সিজেন কম থাকে। অতিরিক্ত উচ্চতায় খেলতে যাতে দমের কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। সিন্ধু বলেন, “যাতে প্যারিসে খেলতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য এই ব্যবস্থা করেছিলাম। আমি বেশি উচ্চতায় অনুশীলন করতে পারিনি। তাই ওই রকম একটা ঘর তৈরি করেছিলাম। বেশি উচ্চতায় খেলার সময় যাতে দমের ঘাটতি না হয় তার জন্যই এই অনুশীলন।”
সিন্ধুর সঙ্গে এ বার প্যারিসে গিয়েছেন তাঁর কোচ প্রকাশ পাড়ুকোন। গত কয়েক মাস পাড়ুকোনের কাছে বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি। সিন্ধু বলেন, “পাড়ুকোন স্যর আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছেন। এখন খেলায় লম্বা লম্বা র্যালি হয়। তাতে দম রাখতে হয়। কোন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কী ভাবে খেলব তার পরিকল্পনা স্যর আমার সঙ্গে বসে করেন। অনেক উন্নতি হয়েছে। কোর্টে নামার পরে সে সব দেখতে পাবেন। এ বার এক অন্য সিন্ধুকে দেখবেন।”
রিয়োতে যখন নেমেছিলেন তখন সিন্ধু ছিলেন অনভিজ্ঞ। তাই তাঁর উপর চাপ কম ছিল। টোকিয়ো অলিম্পিক্সে সিন্ধু ছিলেন তারকা। এ বার তাঁর অভিজ্ঞতা আরও বেড়েছে। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান তিনি। পদক ছাড়া কিছু ভাবছেন না ভারতের ব্যাডমিন্টন তারকা।