বিএনপি এবং জামাতে ইসলামির মতো বিরোধীদের চক্রান্তেই কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে অশান্তি ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার তিনি বলেন, ‘‘আমার আশঙ্কা ছিল, এ ধরনের একটা আঘাত আসবে।’’
বিএনপি এবং জামাতের জোট বাংলাদেশের অগ্রগতিকে স্তব্ধ করে দিতে চাইছে বলেও বুধবার অভিযোগ করেন তিনি। কোটা সংস্থার আন্দোলন ঘিরে অশান্তি এবং সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বুধবার তাঁর দফতরে এডিটরস গিল্ড আয়োজিত মুখোমুখি আলাপচারিতায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক এবং সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন। সে সময়ই ওই মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল জয়ের পরেই বিএনপি-জামাত চক্র দেশ জুড়ে অশান্তি বাধাতে তৎপর হয়েছিল দাবি করে হাসিনা বলেন, ‘‘তারা (বিএনপি-জামাত) আমাদের নির্বাচন করতে দিতে চায়নি। কিন্তু আমরা নির্বাচন করেছি। নির্বাচনের পর আমরা সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছি। আমরা সরকার গঠন করেছি। তার পরেই আঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।’’ এর আগে ২০১৩-১৪ সালেও ভোটের পর একই ছকে বিএনপি-জামাত অশান্তি বাধিয়েছিল বলে অভিযোগ করে হাসিনার বলেন, ‘‘শয়ে শয়ে মানুষ সে সময় হিংসায় নিহত হয়েছিলেন।’’
প্রসঙ্গত, গত এক সপ্তাহের সহিংস আন্দোলনের পর বুধবার কার্ফু আংশিক শিথিল হতেই রাজধানী রাস্তাঘাটে গাড়ি চলাচলও শুরু হয়েছে। ঢাকার রাজপথেও গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। কার্ফু শিথিল হওয়ার পরে খুলেছে কিছু সরকারি-বেসরকারি দফতরও। ইন্টারনেট পরিষেবাও অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে হাসিনা জানান, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে সেনা তলব এবং কার্ফু জারি হয়নি। তিনি বলেন, ‘‘যে সন্ত্রাসবাদী শক্তি দেশের পরিকাঠামো ধ্বংস করার চক্রান্ত করেছিল, তাদের রুখতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’