: বাবা থাকেন সৌদি আরবে। স্ত্রীর সঙ্গে মেয়ে থাকে ফরিদাবাদের বাড়িতে। গত ১০ মাস ধরে নিখোঁজ মেয়ে। সেই অভিযোগ জানিয়ে পুলিসকে মেইল পাঠায় বাবা। তারপরেই তল্লাশি চালায় পুলিস।
তল্লাশির পর ফরিদাবাদের বাড়ির থেকেই উদ্ধার হয় মেয়ের মৃতদেহ। জানা গিয়েছে, মেয়েটির মৃতদেহ পুঁতে দিয়েছিল তাঁরই মা। ইতোমধ্যে উদ্ধারকৃত দেহ পোস্ট মর্টেমের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃত কিশোরীর নাম পারভিনা। তাঁর বয়স ১৭। অভিযুক্ত মা অনিতা বেগমকে পুলিস হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পুলিস জানিয়েছে, বাবা তাহির ৭ জুন তাঁর মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে ইমেল পাঠিয়েছিলেন। অভিযোগ করতে এত মাস সময় লেগেছে তা জানতে চাইলে, তিনি জানায় যে তাঁর সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো ছিল না।
অভিযুক্ত মা অনিতা বেগম মেয়েকে খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি পুলিসকে জানায় যে, তার মেয়ে আত্মহত্যা করে মারা যায়। তিনি অবশ্য পুলিসের কাছে স্বীকার করেছেন যে, তিনি তার মেয়েকে বাড়িতে কবর দিয়েছিলেন। তিনি জানান যে, পারভিনা আত্মহত্যা করে মারা গিয়েছে। তিনি ভয় পেয়েছিলেন যে, আত্মহত্যার খবর জানাজানি হলে পরিবারের বদনাম হবে। তাই দুজনের সহায়তায় তাঁকে কবর দেওয়া হয়।
অনিতা বেগম বলেন, ‘আমি তাকে খুন করিনি। পরভিনার সম্পর্ক ছিল এবং তার সঙ্গে ঘুরে বেড়াত। আমরা তাকে বাধা দিতাম। রাতে আমরা যখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। তখন সে আত্মহত্যা করে মারা যায়। বদনামের ভয়ে আমরা তাকে ঘরে পুঁতে দিয়েছিলাম। এটি একটি বড় ভুল ছিল, আমি স্বীকার করছি।’
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর আরও তদন্ত শুরু হবে বলে জানিয়েছে পুলিস।