ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানগা বাজারে ট্রেন দুর্ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার বালেশ্বরে গিয়ে মোদী বলেছেন, ‘‘যাঁরা জড়িত, তাঁদের কাউকে রেয়াত করা হবে না। কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।’’ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ওড়িশায় বালেশ্বরের কাছে বাহানগা বাজারে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। একই সঙ্গে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় একটি মালগাড়িও। এই ৩ ট্রেনের দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার রাতেই রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার সকালে নয়াদিল্লিতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন তিনি। বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তার পরেই বালেশ্বরের উদ্দেশে রওনা দেন মোদী। শনিবার বিকেল পৌনে ৪টা নাগাদ বালেশ্বরের মাটি ছোঁয় মোদীর কপ্টার। এর পর রেলমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রের আরও এক মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। খতিয়ে দেখেন উদ্ধারকাজ।
দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর বালেশ্বর হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে দেখা করেন। কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গেও। তার পরই রেল দুর্ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের বার্তা দেন মোদী। পাশাপাশি বলেছেন, ‘‘এটা দুঃখজনক ঘটনা। আহতদের চিকিৎসায় কোনও খামতি রাখবে না সরকার। খুবই গুরুতর ঘটনা এটা। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।’’
শনিবার সকালে দুর্ঘটনাস্থলে যান রেলমন্ত্রী। তার পর সেখানে যান ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ বাহানগায় পৌঁছন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘কিছু একটা নিশ্চয়ই হয়েছে। সঠিক তদন্ত করা হোক।’’ রেলে সমন্বয়ের অভাবের অভিযোগ করেছেন মমতা। তার পরেই বিকেলে বালেশ্বর পৌঁছন মোদী। কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।