স্মার্টফোন চুরি যাওয়ার ঘটনা অহরহ ঘটছে। চুরি হওয়া ফোনটি কোনও অসৎ কাজে লাগানো হচ্ছে কি না, এ নিয়ে সংশয় থাকে। এ বার চুরি যাওয়া বা হারিয়ে যাওয়া স্মার্টফোনের অপব্যবহার রুখতে কড়া পদক্ষেপ করল ভারত সরকার।
ভারতে সমস্ত ফোনের আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) নম্বর ‘ইন্ডিয়ান কাউন্টারফিটেড ডিভাইস রেস্ট্রিকশন’ পোর্টালে (https://icdr.ceir.gov.in) নথিভুক্ত করতে হবে সংস্থা গুলিকে। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এই নির্দেশ কার্যকর করা হবে। দেশে কোনও নতুন মোবাইল ফোনের আত্মপ্রকাশের আগেই এই কাজ করতে হবে। শুধু মাত্র দেশে তৈরি ফোনই নয়, আইফোন, স্যামসাং গ্যালাক্সির মতো আমদানিকৃত স্মার্টফোনের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
অতীতে ভারতে লক্ষ লক্ষ স্মার্টফোনে হদিস পাওয়া গিয়েছে, যেগুলিতে নকল কিংবা ভুয়ো আইএমইআই নম্বর রয়েছে। ২০২০ সালের জুন মাসে ভিভো সংস্থার ১৩ হাজার ৫০০টি স্মার্টফোন পেয়েছিল উত্তরপ্রদেশের মিরাট পুলিশ। ওই ফোনগুলির আইএমইআই নম্বর এক ছিল। এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়। চিনা সংস্থার একাধিক ফোনেও একই আইএমইআই নম্বরের হদিস পাওয়া গিয়েছিল।
নয়া নিয়মে বলা হয়েছে যে, ভারতে যে সমস্ত স্মার্টফোন বিক্রি করা হবে, প্রত্যেকটি ফোনে বৈধ আইএমইআই নম্বর থাকতে হবে।
নতুন এই নিয়ম কার্যকর হলে উপকৃত হবেন গ্রাহকরাও। ফোন হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে, এই নম্বরের সাহায্যে সহজেই ফোনগুলি ‘ব্লক’ করা যাবে। ফলে চুরি যাওয়া বা হারিয়ে যাওয়া ফোনের অপব্যবহার রোখা সম্ভব হবে। এই পদ্ধতির ফলে ভারতে স্মার্টফোনের কালোবাজারিও বন্ধ করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, আইএমইআই নম্বরের সাহায্যে সহজেই ফোনটিকে ‘ট্র্যাক’ করা যায়। ফোন চুরি হলে বা হারিয়ে গেলে সিম কার্ড বদল বা নষ্ট করা যায়। কিন্তু ফোনে আইএমইআই নম্বর থাকলে তা সহজে নষ্ট করা কঠিন। ফলে ফোন চুরি হলে, এই নম্বরের সাহায্যে অপরাধীকে খুঁজে বার করার কাজ সহজ হতে পারে।
ফলে আপনি যদি ফোন কিনতে যান, তা হলে সর্বদা জেনে নিন যে ফোনটি কিনছেন, সেটিতে আইএমইআই নম্বর রয়েছে কি না। এই নম্বর ছাড়া যে কোনও ফোন ভুয়ো। তা না কেনাই ভাল। ফোনে আইএমইআই নম্বর রয়েছে কি না, তা জানতে ডায়াল করুন ‘*#06#’।