যৌনঅপরাধ রুখতে ধর্ষকদের সকলের সামনে ফাঁসিতে ঝোলানোর মতো তালিবানি নিদান দিলেন মধ্যপ্রদেশের এক মহিলা মন্ত্রী। বৃহস্পতিবার রাজ্যের পর্যটন ও সংস্কৃতিমন্ত্রী ঊষা ঠাকুরের দাবি, এ শাস্তি দিলে তবেই সমাজে ধর্ষণের মতো অপরাধের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দেওয়া যাবে। মূলত তালিবানরাই এমন শাস্তি দেয়। এ হেন শাস্তি বলবৎ করার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের কাছেও দরবার করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার মধ্যপ্রদেশের খন্ডওয়া শহরে বছর চারেকের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ২২ বছরের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, শিশুটিকে ধর্ষণের পর গলা টিপে খুনের চেষ্টা করেন অভিযুক্ত। এর পর অচৈতন্য অবস্থায় তাকে একটি আখক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যান। সোমবার ওই ক্ষেতের একটি ঝোপ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এই মুহূর্তে ইনদওরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তার। অন্য একটি ধর্ষণের ঘটনায় আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উষার মতে, ধর্ষণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। তিনি বলেন, ‘‘(ধর্ষণের মতো অপরাধ সম্পর্কে) সমাজকে জাগ্রত কতে নানা পন্থা নিতে হবে আমাদের। এ ধরনের বর্বর কাজ কেউ কী ভাবে করতে পারেন? মুখ্যমন্ত্রী (শিবরাজ সিংহ চৌহান)-কে অনুরোধ করব যাতে এ ধরনের অপরাধীকে জনসমক্ষে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।’’ মন্ত্রীর মতে, ‘‘অভিযুক্তকে জেলের ভিতর ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। কিন্তু, কোথায় এটা হয়, তা কেউ জানতে পারেন না।’’
বিজেপিশাসিত এই রাজ্যে সপ্তাহখানেকের মধ্যে দু’টি ধর্ষণের ঘটনায় পর মন্ত্রীর দাবি, ‘‘এ ধরনের বর্বরদের কড়া ভাবে মোকাবিলা করছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। দেশের মধ্যে এ রাজ্যই প্রথম ধর্ষকদের ফাঁসিতে ঝোলানোর শাস্তি বিধান রেখেছে। এখনও পর্যন্ত এ ধরনের ৭২ জন অপরাধীকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।’’ কড়া শাস্তি সত্ত্বেও সমাজকে এ ধরনের অপরাধ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করা জরুরি বলে মনে করেন ঊষা। তিনি বলেন, ‘‘দু’টি ধর্ষণের সাম্প্রতিক ঘটনায় ধৃত ২ অপরাধকে যদি খান্ডওয়া শহরের চৌরাস্তায় সকলের সামনে ফাঁসিতে ঝোলানো যেত, তা হলেও এ ধরনের অপরাধীরা আমাদের কোনও মেয়েকে ছুঁতে হাজার বার ভাবতেন!’’