ইজরায়েল-প্যালেস্টাইনে লড়াইয়ে বড় ধাক্কা হামাসের। যে লেবাননকে তাদের জন্য নিরাপদ বলেই মনে করে হামাস সেখানেই বিস্ফোরণে নিহত হামাসের মিলিটারি উইংয়ের প্রতিষ্ঠাতা নেতা সালেহ আরৌরি। হেজবোল্লা জানিয়েছে, দক্ষিণ বেইরুটে এক বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে আরৌরির। প্যালেস্টাইনের ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে হামাসের যে গোষ্ঠী রয়েছে তার নেতৃত্বে ছিলেন এই নেতা।
হামাসের এই নেতাকে রীতিমতো সমীহ করে চলতো ইজরায়েল। গত বছর ৭ অক্টোবর ইজরায়েল-হামাস লড়াই শুরু হয়। তার অনেক আগে হামাসের এই নেতাকে হত্যা করার হুমকি দিয়েছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতেনিয়াহু। লেবাননের সরকারি সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন আরও ৪ জন। পাশাপাশি দক্ষিণ বেইরুটে বিস্ফোরণ ঘটায় ইজরায়েল।
সালেহর মৃত্যুতে বড় ধাক্কা লেগেছে হামাস শিবিরে। সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, সালেহর মৃত্য়ুতে হামাসের মনবলে চিড় ধরবে না। হামাসের শীর্ষ নেতা ইজ্জত আল রিসক সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, এই হত্ঠাকাণ্ড প্রমাণ করে ইজরায়েল গাজায় এমন কিছুই করতে পারেনি। অন্যদিকে, হামাস পলিটব্যুরোর তরফে বলা হয়েছে কাপুরুষের মতো ও গুপ্তহত্যা করেছে ইজরায়েল।
সালেহর মৃত্যুকে মোটেই ছোট করে দেখছে না লেবাননের হেজবোল্লা। সংগঠনের তরফে হাসান নাসারুল্লাহ বলেছেন সালেহর হত্যাকাণ্ডের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। অন্যদিকে, লেবাননের কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেন, এটা ইজারায়েলের নতুন এক অপরাধ। তারা চেষ্টা করছে লেবাননকে যুদ্ধে জড়িয়ে দেওয়ার।
এদিকে, সালেহ আরৌরির হত্যাকাণ্ডের দায় নিতে নারাজ ইজরায়েল। ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতেনিয়াহু সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, যে কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকুক না কেন তা মোটে লেবাননের উপরে হামলা নয়। এটাকে একমাত্র হমাসের বিরুদ্ধে একটা সার্জিক্যাল স্ট্রাইকই বলা যায়।