হাইতি ভূমিকম্প: বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা, এখনও উদ্ধায় প্রায় ১৩০০ দেহ

হাইতি ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শনিবার ক্যারিবিয়ান এই দেশটিতে রিখটার স্কেলে ৭.২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। এতে ধ্বংস হয় বহু বিল্ডিং। সেই ভূমিকম্পের তাণ্ডবে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১২৯৭ জনের। আরও বহু মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। উদ্ধার কাজ চলছে সেই দেশে। এখনও পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার ৭০০ মানুষ আহত হয়েছে। এদিকে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে থাকা দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পরিস্থিতি এখনও খুবই করুণ। বিশেষ করে লে কায়ে শহরটি পরিণত হয়েছে ধ্বংসাবশেষে।

এদিকে উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছে স্থানীয়রাই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া বহু ভিডিয়োতেই দেখা গিয়েছে যে আহতদের উদ্ধার করতে। এদিকে ত্রাণ, চিকিত্সা সহায়তার খোঁজে মরিয়া হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষ। ভূকম্পের জেরে রীতিমতো ধুলোয় মিশে যায় একাধিক বহুতল। অনেকেই সেই ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ে যান। কিছুক্ষণের জন্য উপকূলীয় শহর লে কায়ে জলও ঢোকে সমুদ্র থেকে। প্রাথমিকভাবে সুনামির সতর্কতাও জারি করেছিল মার্কিন সুনামি সংস্থা। পরে তা তুলে নেওয়া হয়।

শনিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ জোরালো কম্পন অনুভূত হয়েছিল দক্ষিণ-পশ্চিম হাইতিতে। তারপর একের পর এক ‘আফটারশক’ কেঁপে উঠতে থাকে বিস্তীর্ণ এলাকা। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, রাজধানী পোর্ত-অউ-প্রিন্সের পশ্চিমে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল। রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ২০১০ সালে যে ভূমিকম্প হয়েছিল, তার তুলনায় এবার কম্পনের মাত্রা বেশি। কিন্তু ১১ বছরের বিধ্বংসী ভূমিকম্পের তুলনায় এবার ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কম হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.