মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছেলেকে ‘পাগল’ বলেছিল মা। রেগে গিয়ে মাকে কুপিয়ে খুন করল ছেলে। আগুন ধরিয়ে দিল বাড়িতে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে গুরগাঁওয়ে। ছেলের ছুরির আঘাতে গুরুতর জখম ৫৯ বছরের ওই প্রৌঢ়াকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় নিকটবর্তী হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ওই মহিলা।
জানা গিয়েছে, ওই মহিলার ফ্ল্যাটে আগুন দেখতে পান প্রতিবেশীরা। আগুন দেখেই ছুটে আসেন তাঁরা। খবর দেন পুলিসে। পুলিস এসে গুরুতর জখম অবস্থায় রক্তাক্ত ওই মহিলাকে উদ্ধার করেন। প্রতিবেশীরা জানান, মাঝে মধ্যেই মায়ের উপর রেগে যেতেন ছেলে। এমনকি মাকে শারীরিকভাবে নিগ্রহও করতেন। সেই ঘটনার পরিণতি এমনটা হতে পারে, তা কল্পনাও করতে পারেননি গুরুগ্রাম হাউজিং সোসাইটির বাসিন্দারা।
পুলিস সূত্রে খবর, রানু শাহ নামে ওই মহিলা তাঁর মানসিকভাবে অসুস্থ ছেলেকে ‘পাগল’ বলেন। আর তারপরই আক্রোশবশত মায়ের উপর চড়াও হয় ২৭ বছরের ছেলে। ছুরি নিয়ে চড়াও হয় ছেলে। নির্মমতার সঙ্গে মাকে কোপায় ছেলে। বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। জানা গিয়েছে, গুরগাঁওয়ের হাউসিং সোসাইটিকে অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে স্বামী বিপুল শাহের সঙ্গে থাকতেন রানু শাহ।
গত রাতে আগুন দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীরা গুরুগাঁও পুলিসে খবর দেন। খবর পেয়ে আসে দমকল। দরজা ভেঙে ফ্ল্যাটের ভিতরে ঢোকে। ভিতরে ঢুকে দমকল কর্মীরা ৫৯ বছরের ওই মহিলাকে টেনে হিঁচড়ে বের করেন ফ্ল্যাট থেকে। ততক্ষণে ওই মহিলা গুরুতরভাবে অগ্নিদগ্ধও হয়েছেন। রবিবার রাতের এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।